লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নতুন প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন শেখ নাঈম কাশেম। তিনি এর আগে দলটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নতুন প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন শেখ নাঈম কাশেম। তিনি এর আগে দলটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারান হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। ওই সময় শোনা গিয়েছিল নাসরুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হবেন হাসিম সাফিউদ্দিন। তবে নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ না পেরুতেই সাফিউদ্দিনকেও লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় তিনি প্রাণ হারান।
অবশেষ এক মাসের বেশি সময় পর নাঈম কাশেমকে নতুন প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছে হিজবুল্লাহ।
নাঈম কাশেম প্রায় দুই সপ্তাহ আগে টেলিভিশনে একটি ভাষণ দেন। এতে জানান তারা বেশ কয়েকটি বড় ধাক্কা খেয়েছেন। কিন্তু তাদের সামরিক শক্তি অক্ষত আছে। তার এ কথার প্রতিফলন পরবর্তীতে দেখা যায়। যেখানে ইসরায়েল দাবি করেছিল হিজবুল্লাহকে তারা অনেকটা দুর্বল করে দিয়েছে সেখানে দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে শত শত রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। এছাড়া লেবাননে স্থল হামলা চালাতে যাওয়া ইসরায়েলি সেনারাও হিজবুল্লাহর ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।
নাঈম কাশেম তার ভাষণে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কথাও বলেছিলেন। ওইবারই প্রথমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিয়েছিল হিজবুল্লাহ। তবে নাঈম কাশেম সঙ্গে এও জানিয়ে দেন, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় তাহলে তারা প্রস্তুত আছেন।
নাঈম কাশেম ১৯৫৩ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন শিয়াদের আমল আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর তিনি আমল আন্দোলন থেকে সরে আসেন।
১৯৮২ সালে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সহায়তায় তৈরি হয় হিজবুল্লাহ। যে বৈঠকের মাধ্যমে হিজবুল্লাহর জন্ম হয়েছিল সেটিতে উপস্থিত ছিলেন নাঈম কাশেম।
নাঈম কাশেম মাথায় সাদা পাগড়ি পরেন। অপরদিকে সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ কারো পাগড়ি পরতেন।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই