বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের জন্য জীবন দেওয়া সবার সৌভাগ্য হয় না। নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিম জেনে শুনেই সেনাবাহিনীতে গিয়েছিলেন। এটা জীবন-মৃত্যুর খেলা এবং দেশ রক্ষার খেলা। এটা জেনেই তিনি সেখানে যান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের জন্য জীবন দেওয়া সবার সৌভাগ্য হয় না। নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিম জেনে শুনেই সেনাবাহিনীতে গিয়েছিলেন। এটা জীবন-মৃত্যুর খেলা এবং দেশ রক্ষার খেলা। এটা জেনেই তিনি সেখানে যান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডা. শফিকুর রহমান নিহত সেনা কর্মকর্তার পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির নিহত সেনা কর্মকর্তার বাবা ও মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন এবং তাদের সমবেদনা জানান। পরে তানজিমের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করেন।
ডা. শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এই বাড়িতে এসে তানজিম সম্পর্কে তার মায়ের মুখ থেকে মন ভরে কথা শুনেছি। আমি বুঝতে পেরেছি আল্লাহ তায়ালার এক বিশাল নেয়ামত ছিলেন তিনি। ছোট বেলা থেকেই তিনি মেধাবী ও চঞ্চল ছিল। ক্লাসে কখনও দ্বিতীয় হননি। মেধার দিক থেকে আল্লাহ তায়ালা তাকে এই নেয়ামত দান করেছিলেন।
‘আলহামদুলিল্লাহ। তার মা-বাবাকে এরকম একটা সন্তান দিয়ে ধন্য করেছেন। আমরা এখানে আসিনি ওনাদেরকে গর্বিত করতে, আমরা এসেছি নিজেরা গর্বিত হতে।’
তিনি বলেন, ‘এরকম বাবার কপালে চুমু দেওয়া আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমরা মনে করি এটা আমাদের জাতীয় নাগরিক দায়িত্ব, তাদের প্রতি সম্মান দেখানো। আমি সম্মান দেখানোর জায়গা থেকে এখানে এসেছি। আপনাদের সবার প্রতি, এলাকার মানুষের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা তাদের (বাবা-মা) বুকটা ভরে রাখবেন ইনশাআল্লাহ। আপনারা তাদের খোঁজ-খবর নেবেন আমরাও যতটুকু পারি পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তিনি আমেরিকায় গিয়ে বলেছেন, এই আন্দোলন ছিল একেবাবেই পরিকল্পিত। আমি ওনার বক্তব্যের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না। আমি আমার নিজস্ব মূল্যায়নটা শুধু বলব। সবার প্রতি আমার সম্মান আছে। আমার জানামতে এই আন্দোলন ছিল ছাত্রদের রাইট ইস্যুর ব্যাপার, অধিকারের ব্যাপার। সেই অধিকারটা অন্য কিছু না।’
এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামায়াতে নায়েবে আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম খান, হুসনী মোবারক বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দিবাগত রাতে দায়িত্বপালনকালে চকোরিয়া উপজেলার অন্তর্গত ডুলহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন (২৩) নিহত হন।
অভিজিৎ ঘোষ/এমএ