দেশের ক্রিকেটে যে ইতিহাস গড়ার সামনে নাজমুল শান্ত  

দেশের ক্রিকেটে যে ইতিহাস গড়ার সামনে নাজমুল শান্ত  

কমপক্ষে ৫ ম্যাচ বাংলাদেশের অধিনায়ক হয়েছেন এমন অধিনায়কদের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্তর রেকর্ডই সবচেয়ে ভাল। মাত্র ৬ ম্যাচ অধিনায়ক হয়েই টপকে গিয়েছেন দেশের ইতিহাসের আগের সব অধিনায়ককে। তবে রেকর্ডের সাপেক্ষে শান্ত অনেক কম ম্যাচই পেয়েছেন। কেবল ৬ ম্যাচের সাপেক্ষে টেস্টে শান্তকে তাই মূল্যায়নের পক্ষে নন অনেকেই। 

কমপক্ষে ৫ ম্যাচ বাংলাদেশের অধিনায়ক হয়েছেন এমন অধিনায়কদের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্তর রেকর্ডই সবচেয়ে ভাল। মাত্র ৬ ম্যাচ অধিনায়ক হয়েই টপকে গিয়েছেন দেশের ইতিহাসের আগের সব অধিনায়ককে। তবে রেকর্ডের সাপেক্ষে শান্ত অনেক কম ম্যাচই পেয়েছেন। কেবল ৬ ম্যাচের সাপেক্ষে টেস্টে শান্তকে তাই মূল্যায়নের পক্ষে নন অনেকেই। 

১ ম্যাচে অধিনায়ক হয়েই টেস্টে জয় পেয়েছেন এমন অধিনায়ক বাংলাদেশে দুজন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে লিটন দাস আর ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাশরাফি বিন মর্তুজা পেয়েছিলেন এক ম্যাচেই অধিনায়ক হয়ে জয়ের সুখবর। যদি মাশরাফির ম্যাচে আক্ষরিক অর্থে অধিনায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। মাশরাফি প্রথম দিনেই হয়েছিলেন ইঞ্জুর্ড। 

এছাড়া ১ ম্যাচের টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন তামিম ইকবাল। সেই ম্যাচটা যদি হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তামিমের নামের পাশে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তাই শতভাগ হারের তকমা জুটেছে। এমন অবস্থা হয়েছে আরও দুজনের। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ৯ টেস্টের সবকটি ম্যাচে এবং খালেদ মাহমুদ সুজন ১২ টেস্টের সব ম্যাচে হারের মুখ দেখেছিলেন। 

মোহাম্মদ আশরাফুল এবং নাইমুর রহমান দুর্জয় অবশ্য এমন লজ্জা থেকে বেঁচে গিয়েছেন একটা করে ড্রয়ের সুবাদে। দেশের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম অধিনায়ক দুর্জয়ের অধীনে ৭ টেস্টে ১ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আর আশরাফুলের অধীনে ১৩ ম্যাচ থেকে আসে ১ ড্র। ১ জয় পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং হাবিবুল বাশার সুমন। রিয়াদ অধিনায়ক ছিলেন ৬ ম্যাচে। বাশারের অধিনায়কত্ব ছিল ১৮ ম্যাচে। ২০০৫ সালে বাশারের অধিনায়কত্বেই প্রথম টেস্ট জেতে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশের হয়ে একাধিক টেস্ট জয় আছে কেবল চারজনের। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হকের পর এই তালিকায় আসেন নাজমুল হোসেন। এরইমাঝে মুমিনুল হকের সমান ৩ টেস্ট জয় করে ফেলেছেন তিনি। সামনে সাকিবের ৪ জয় এবং মুশফিকের ৭ জয়। এদের মধ্যে কেবল সাকিব এবং শান্তই নিজেদের প্রথম টেস্টে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। 

এছাড়া দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ম্যাচে ৩ টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েছেন। সামনে আছে ভারত সিরিজ। চলতি বছর পাচ্ছেন আরও ৬ টেস্ট। এই সময়ের মাঝে অন্তত দুই ম্যাচে জয় পেলে দেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে ৫ টেস্টে জয়ী অধিনায়ক হবেন টাইগারদের বর্তমান ক্যাপ্টেন। 

তাছাড়াও চলতি বছরে যদি ৬ ম্যাচ থেকে অন্তত ২ জয় পান শান্ত। তবে দেশের ইতিহাসে কমপক্ষে ১০ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন এমন টেস্ট অধিনায়কের মধ্যে সবচেয়ে সফল হবেন তিনি। জয়ের শতাংশ হবে ৪১.৬৬। বর্তমানে ১৯ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে শতাংশের হিসেবে সবচেয়ে বেশি জয়ের মালিক সাকিব আল হাসান। নাজমুল শান্তের সামনে সুযোগ আছে সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়ে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের নতুন কিছু করার।

জেএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *