শেষ কবে ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছিল ভারত? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ফিরে যেতে হবে ১ যুগ আগের এক টেস্ট সিরিজে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক তখন অ্যালিস্টার কুক। ভারত সফরে এসে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ইংলিশরা জয় করেছিল ২-১ ব্যবধানে। এরপর থেকে ঘরের মাঠে প্রায় ৪ হাজার ৩শত দিন অপরাজিত আছে ভারত। এই সময়ে তারা খেলেছে জয় পেয়েছে ৪০ টেস্টে। হেরেছে ৪ টেস্টে।
শেষ কবে ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছিল ভারত? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ফিরে যেতে হবে ১ যুগ আগের এক টেস্ট সিরিজে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক তখন অ্যালিস্টার কুক। ভারত সফরে এসে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ইংলিশরা জয় করেছিল ২-১ ব্যবধানে। এরপর থেকে ঘরের মাঠে প্রায় ৪ হাজার ৩শত দিন অপরাজিত আছে ভারত। এই সময়ে তারা খেলেছে জয় পেয়েছে ৪০ টেস্টে। হেরেছে ৪ টেস্টে।
ভারতের পরের মিশন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট। সেখানেও ফেবারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নামবে রোহিত শর্মার দল। অবশ্য এই সিরিজে মাঠে নামবার আগে বাংলাদেশ দলকে স্বস্তি দেবে ছোট এক পরিসংখ্যান। কোভিড পরবর্তী যুগে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের ধার কমেছে অনেকটাই।
জয়-পরাজয়ের ভিত্তিতে ২০১৩ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ভারত জয় পেয়েছে ২৮ ম্যাচে। হেরেছে মোটে ১ ম্যাচ। আর শেষ ৪ বছরেই হেরেছে ৩ টেস্ট। চলতি বছরেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। এই সময়ে ভারত দল উইকেটপ্রতি রান তুলেছে ৪৪ এর বেশি গড়ে। কেবল ২০১৫ সালেই তাদের গড় ছিল ২৫.২৭। এই সময়ে ভারতের বোলিং বিভাগ গড়ে ২৩.৩০ রানের বিনিময়ে একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছে।
চিত্রটা বদলেছে ২০২১ সালের পর থেকে। এই বছরগুলোতে ১৭ ম্যাচে হেরেছে ৩টায়। ব্যাটিং গড় নেমে এসেছে ৩৩ দশমিক ৪০তে। ২০১৬ সাল থেকে কোভিডের আগে পর্যন্ত যেখানে ভারতের শীর্ষ ৭ ব্যাটারের গড় ছিল ৪৮ রান। সেটাই শেষ ৪ বছরে গড়ে ১৩ রান করে নেমে এসেছে।
তবে এই সময়ে ভারতের বোলাররাও আরও বেশি ভয়ানক হয়ে উঠেছেন। প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ২২ রান তোলার আগেই একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। ঘরের মাঠে বোলারদের মধ্যে এরচে ভাল গড় আছে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার। তারা প্রতি ১৮ দশমিক ৮৪ রানের খরচায় একটি করে উইকেট পেয়েছে।
ভারতের বোলারদের পরিসংখ্যান ভয় ধরানোর মতো হলেও বাংলাদেশ ভরসা রাখতে পারে নিজেদের ব্যাটিং দক্ষতার ওপর। কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশের ব্যাটারদের হাতে রানের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত টাইগারদের শীর্ষ ব্যাটারদের মাঝে গড় ছিল ৩২ এর কিছু বেশি। সেটাই কোভিড পরবর্তী সময়ে ৩৪ এর বেশি হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দেশের চেয়ে দেশের বাইরেই ভালো পারফর্ম করেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কোভিডের আগের চার বছরে অ্যাওয়ে সিরিজে ব্যাটাররা উইকেটপ্রতি তুলেছেন মোটে ২৭ দশমিক ৬৭ রান। সেটাই গেল ৪ বছরে বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৬ রান পর্যন্ত।
সবমিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের উন্নতিটাও চোখে পড়ার মতোই। শেষ ৮ টেস্টের মাঝে ৫ ম্যাচেই এসেছে জয়। ব্যাটারদের হাত থেকে এইসময় বেড়েছে বড় স্কোর করার প্রবণতা। যার প্রভাব পড়েছে ম্যাচের ফলাফলেও। ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজেও এই প্রবণতা ধরে রাখতে চাইবে বাংলাদেশ।
জেএ