সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত বিদ্যুৎ কর্মীকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি সম্পূর্ণ অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা। এই দুর্ঘটনার দায় ডিপিডিসি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না।
সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত বিদ্যুৎ কর্মীকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি সম্পূর্ণ অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা। এই দুর্ঘটনার দায় ডিপিডিসি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢামেকে পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, লাইনে কাজ করা অবস্থায় কেন লাইন চালু করা হলো এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর দায় ডিপিডিসি, কোম্পানি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না। এই অবহেলার জন্য একজন মানুষ মারা গেছে এবং দুজন মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নির্দেশনা প্রদান করেন। আহতদের জন্য কেবিন প্রদানের নির্দেশনাও প্রদান করেন। এছাড়াও ডিপিডিসির পক্ষ থেকে হাসপাতালে সার্বক্ষণিক লোক নিয়োগের নির্দেশনা দেন।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা নিহত ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি বলেন, মানুষের মৃত্যুর কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না, কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিহত ও আহতদের পরিবার ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ, গুরুতর আহত একজনকে ২ লাখ ও আরও আহত একজনকে এক লাখ টাকা প্রদানের নির্দেশনা দেন। আহতদের চিকিৎসার সকল খরচ সরকার বহন করবে বলেও তিনি জানান।
রাজধানীতে সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বিদ্যুৎকর্মী নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মানিকনগর এলাকায় উচ্চচাপ (এইচটি ক্যাবল) বিদ্যুৎলাইনের তার পরিবর্তনের কাজ করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি, বিদ্যুৎ লাইনকর্মী (ফোরম্যান) মো. নবীর হোসেন। আহতরা হলেন, মাসুম মিয়া ও রবিউল ইসলাম। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওএফএ/এমএসএ