দাম শুনে ইলিশে হাত দিতে ‘ভয়’ ভারতীয় ক্রেতাদের

দাম শুনে ইলিশে হাত দিতে ‘ভয়’ ভারতীয় ক্রেতাদের

অনেক টানাপোড়েনের পর এবার পদ্মার ইলিশ গেছে ভারতে। তবে আগের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি— আর এতেই মন খারাপ ভারতীয় ক্রেতাদের। দাম শুনে ইলিশে হাত দিতেই ভয় পাচ্ছেন তারা। 

অনেক টানাপোড়েনের পর এবার পদ্মার ইলিশ গেছে ভারতে। তবে আগের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি— আর এতেই মন খারাপ ভারতীয় ক্রেতাদের। দাম শুনে ইলিশে হাত দিতেই ভয় পাচ্ছেন তারা। 

যে পদ্মা-মেঘনার ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। সেখানে এই ইলিশ হাতের কাছে পেয়েও আক্ষেপ ওপার বাংলার ক্রেতাদের।

রাজ্যের মাছ ব্যবসায়ীদের সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট থেকে মাছ যায় গোটা উত্তরবঙ্গে। পাশাপাশি পাহাড়-সিকিম, নেপাল ও বিহারের প্রান্তিক বাজারগুলোতেও শিলিগুড়ি থেকে পাইকারি মাছ পাঠানো হয়।

শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের ফিশ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাপি চৌধুরী দেশটির সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশের ইলিশের দাম শুনেই খুচরা ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। একেই তো টানা বৃষ্টিতে বাজারে মানুষের আনাগোনা কম, তার উপরে দাম অনেকটাই বেশি পড়ছে। বেশি দামে কিনতে চাইছেন না অনেকে।

গত বৃহস্পতিবার সীমান্ত পেরিয়ে ওপার বাংলায় প্রায় ৪০ টন রূপালি ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে। তার মধ্যে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে শুক্রবার সকালে এক টন অর্থাৎ ১০ কুইন্টাল ইলিশ পৌঁছেছে। ইলিশের ওজন ৭৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত। পাইকারি বাজারে এদিন এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম ছিল ১৮০০ টাকা, এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ১৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ জানান, বাজারে এত দামি মাছ বিক্রি করা কঠিন। তার উপরে টানা বৃষ্টিতে বাজারে লোক কম। এখানে দিঘা, মুম্বাইয়ের কিছু ইলিশ বিক্রি করছেন তারা।

এমএসএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *