গত সপ্তাহে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের ত্রিপুরায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পরবর্তীতে ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উপর তৈরি ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়া এবং বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশে দেখা দেয় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। এতে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে।
গত সপ্তাহে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের ত্রিপুরায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পরবর্তীতে ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উপর তৈরি ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়া এবং বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশে দেখা দেয় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। এতে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে।
এরমধ্যেই ত্রিপুরায় আবারও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) শুক্রবার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে ত্রিপুরার দক্ষিণ, উত্তর, উনাকোতি এবং ধালাই বিভাগে (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। অপরদিকে ত্রিপুরার সববিভাগে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে।
আইএমডি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শিগগিরই এই বর্ষণ থামবে না; কারণ বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে একটি নিম্নচাপ তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল থেকে সেটি গঠিত হওয়া শুরু করবে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ আরও বলেছে, বঙ্গপোসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরও কয়েকদিন ভারী বর্ষণ হতে পারে ত্রিপুরায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভয়াবহ এ বন্যায় ত্রিপুরায় ২২ জন এবং বাংলাদেশে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে যথাক্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৭ ও ১৪ লাখ মানুষ।
আজ শুক্রবার ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হওয়ার তথ্য জানা গেছে। তবে ভারতের অংশে থাকা গোমতী নদীর পানি আজও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া যেসব লোকালয়ে পানি ছিল সেগুলো এখনো প্লাবিত আছে।
বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতো। তবে যেহেতু বৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা আছে। ফলে পানি খুব দ্রুত সরবে কি না এ নিয়ে আশঙ্কা থেকে যাবে।
সূত্র: আইএমডি
এমটিআই