সর্দিকাশি নিরাময়ে তুলসিপাতা খাওয়ার প্রচলন বহু পুরোনো। আয়ুর্বেদেও তুলসীর যথেষ্ট কদর রয়েছে। ঠান্ডা লাগার লক্ষণ থাকলে মধুর সঙ্গে তুলসিপাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো হয় শিশুদের। এই ভেষজ শুধু সর্দিকাশি নয়, এমন অনেক দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। তবে, তা মধু দিয়ে খেলে চলবে না। খেতে হবে পানিতে ভিজিয়ে।
সর্দিকাশি নিরাময়ে তুলসিপাতা খাওয়ার প্রচলন বহু পুরোনো। আয়ুর্বেদেও তুলসীর যথেষ্ট কদর রয়েছে। ঠান্ডা লাগার লক্ষণ থাকলে মধুর সঙ্গে তুলসিপাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো হয় শিশুদের। এই ভেষজ শুধু সর্দিকাশি নয়, এমন অনেক দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। তবে, তা মধু দিয়ে খেলে চলবে না। খেতে হবে পানিতে ভিজিয়ে।
তুলসিপাতা ভেজানো পানি খেলে কী উপকার হবে?
১) শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে নিয়মিত তুলসিপাতা ভেজানো পানি খেতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, তুলসির মধ্যে ক্যানসার প্রতিরোধী গুণও রয়েছে।
২) তুলসিপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। শরীরে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ‘প্যাথোজেন’-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করে এই পানীয়।
৩) শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক চাপ, ক্লান্তি কাটাতেও সাহায্য করে তুলসিপাতা ভেজানো পানীয়। স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করে মনকে শান্ত রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পানীয়টি অ্যান্টি-ডিপ্রেশেন্ট হিসাবে কাজ করে।
৪) হজমের গোলমাল হলেও এই পানীয় খেতে পারেন। তুলসিপাতায় এমন একটি উপাদান রয়েছে, যা প্রাকৃতিক ‘কার্মিনেটিভ’ হিসাবে কাজ করে। গ্যাস, পেটফাঁপার সমস্যায় এই পানীয়টি তাই দারুণ কাজ দেয়।
৫) সাধারণ সর্দিকাশি তো বটেই, শ্বাসযন্ত্রের জটিল কোনো সমস্যা থাকলে নিয়মিত এই পানীয় খেতে পারেন। ফুসফুসে জমা কফ, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে তুলসিপাতা ভেজানো পানি।
জেডএস