ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সাদা দলের শিক্ষকরা এমন মন্তব্য করেন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে ঠিক তার পূর্বে এ ধরনের একটি হত্যাকাণ্ড কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ ইতোমধ্যেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে যাদের পরিচয় গণমাধ্যমসহ অন্যান্য সূত্র থেকে জানা গেছে তাতে ঘটনাটিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভাবার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। একইসঙ্গে হল প্রশাসন যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডটি এড়ানো সম্ভব হতো বলেও তারা মনে করেন। শিক্ষকরা হল প্রশাসনের এই নির্লিপ্ত ভূমিকার নিন্দা জানান। দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ব্যর্থতার জন্য তারা অবিলম্বে প্রভোস্টসহ হল প্রশাসনের অপসারণ দাবি করেন।
এসময়, ভবিষ্যতে এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের চিহ্নিত দোসরদের হল প্রশাসনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে দ্রুত অপসারণের জন্য উপাচার্যের কাছে জোর দাবি জানান সাদা দলের শিক্ষকরা।
উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার।
কেএইচ/এমএসএ