ঢাকা বোর্ড : এইচএসসির ১ লাখ ৮০ হাজার উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ

ঢাকা বোর্ড : এইচএসসির ১ লাখ ৮০ হাজার উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬০টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬০টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। ১১টি শিক্ষাবোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।

প্রকাশিত ফলে কারো প্রত্যাশিত ফল না এলে তাকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বা উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ডগুলো। গত ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এ কার্যক্রম চলে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।

বোর্ড সূত্র জানায়, আবেদন করা শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্রগুলো পুনঃনিরীক্ষণ করে ফলে পরিবর্তন এলে তা নতুন করে প্রকাশ করা হবে। তবে ঠিক কবে পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে, তা এখনো জানা যায়নি। 

তবে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হয়। সে হিসেবে আগামী ১৩ বা ১৪ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ণ নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে।

কোন বিষয়ে কত আবেদন

এইচএসসিতে ১৩টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবার সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। যে কারণে সর্বোচ্চ ছয়টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো কোনো বোর্ডে তিনটি বা চারটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার পুনঃনিরীক্ষণের সর্বোচ্চ ইংরেজি বিষয়ে আবেদন পড়েছে। এ বিষয়ে ৩৮ হাজার ৬২৭টি আবেদন পড়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি বিষয়ে ২৩ হাজার ৫০৬টি আবেদন পড়েছে। এরপর বাংলায় ২২ হাজার ৬৫টি, পদার্থ বিজ্ঞানে ১০ হাজার ৬৪০টি, হিসাব বিজ্ঞানে ৪ হাজার ১৩১টি এবং যুক্তিবিদ্যার ৪ হাজার ৬টি আবেদন পড়েছে।

জানা গেছে, পুনঃনিরীক্ষণে একজন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র নতুন করে আবার মূল্যায়ন করা হয় না। আবেদন করা উত্তরপত্রের চারটি বিষয় আবার দেখা হয়। সেগুলো হলো উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে তোলা হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এ চারটি জায়গায় কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।

এনএম/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *