ঢাকা উত্তর সিটি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি 

ঢাকা উত্তর সিটি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি 

সড়ক খুঁড়ে দীর্ঘ দিন ফেলে রাখায় বৃষ্টি ও ড্রেনের পানিতে ভোগান্তির চরম সীমায় রাজধানীর দক্ষিণখান ও উত্তরখানের ৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সড়কে এমন দুর্ভোগ দ্রুত নিরসন না হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুই এলাকার বাসিন্দারা।

সড়ক খুঁড়ে দীর্ঘ দিন ফেলে রাখায় বৃষ্টি ও ড্রেনের পানিতে ভোগান্তির চরম সীমায় রাজধানীর দক্ষিণখান ও উত্তরখানের ৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সড়কে এমন দুর্ভোগ দ্রুত নিরসন না হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুই এলাকার বাসিন্দারা।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর দক্ষিণখান বাজারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

‘রোগী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা চাই। ড্রেনের পানিতে সাতার কাটতে চাই না। এই ভোগান্তির শেষ কবে’— এমন ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন হাজারো মানুষ। 

মানববন্ধনে দক্ষিণখান উত্তরখান সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ইয়াছিন রানা বলেন, ২০১৬ সালে এই এলাকা ঢাকা উত্তর সিটির আওতায় আসার পর থেকে পরিপূর্ণভাবে উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। সিটি নির্বাচনের ছয় বছর পরে এসেও এখানের চিত্র বদলায়নি। বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা তলিয়ে যায়, হাটার মত অবস্থা থাকে না। সড়ক খনন নীতিমালা না মেনে সব রাস্তা একসঙ্গে কাটায় স্বাভাবিকভাবে মানুষ যাতায়াত করতে পারে না। অফিস করতে উত্তরা বা বিমানবন্দর যেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। কয়েক কিলোমিটার রাস্তা হেটে যেতে হয়। 

ইয়াছিন রানা বলেন, এই এলাকায় সিটি করপোরেশনের কেউ পরিদর্শনেও আসেন না। তারা উত্তরা, গুলশান, মিরপুরেই শুধু পরিদর্শন করেন। তাদের কাছে জানতে চাই, উত্তরা, গুলশানের বাসিন্দারা এ গ্রেডের নাগরিক আর দক্ষিণ খান উত্তরখানের বাসিন্দারা কী সি গ্রেডের নাগরিক?

মানববন্ধনে দক্ষিণ খান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খলিল মোল্লা বলেন, আমাদের দুর্ভোগ ভোগান্তি নিয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনো মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। ভোগান্তি নিরসন হচ্ছে না। সব রাস্তা একই সময়ে কেটে ফেলা কোন নীতিমালার মধ্যে পড়ে?

মানববন্ধনে ৭টি দাবি জানানো হয়

১. কাজের গতি যেকোনো উপায়ে বৃদ্ধি করা।

২. জরুরি চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লোকবল বৃদ্ধি করে চলাচল উপযোগী করা।

৩. যে সব রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে সেগুলোর একটি টাইম শিডিউল দিয়ে দিতে হবে, কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে এটা জানিয়ে প্রত্যেক রাস্তায় তা লিখে টানিয়ে দিতে হবে।

৪. যে রাস্তার কাজ যে ঠিকাদার পেয়েছে সে ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ঠিকানা যোগাযোগের নাম্বার জানিয়ে দিতে হবে।

৫. রাস্তার কাজের মান নিয়ে সাধারণ জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে এই বিষয়ে সঠিক তদারকি করতে হবে।

৬. নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ চলতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার কাজ ভালো মানের উপকরণ দিয়ে করার আদেশ জারি করতে হবে।

৭. কোনো ঠিকাদার যথাযথভাবে কাজ না করলে কিংবা অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। 

এমএসআই/এমএসএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *