প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-সহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে অর্থনৈতিক সংলাপ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার কাজে সহায়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই সংলাপের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-সহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে অর্থনৈতিক সংলাপ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার কাজে সহায়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই সংলাপের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটেছে গত ৫ আগস্ট। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের তিনদিন পর বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মাঝে প্রথমবারের মতো উচ্চ-পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে।
মার্কিন রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী।’’
তিনি বলেন, আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সম্পৃক্ততার জন্য মার্কিন সমর্থন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। কারণ বাংলাদেশ আর্থিক খাতের সংস্কার গভীরতর করে আর্থিক টেকসইমূলক উন্নতি এবং দুর্নীতি হ্রাস করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চায়।
করোনাভাইরাস মহামারি আর ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বিশ্ব বাজারে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। অর্থনৈতিক এই সংকটে জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আঞ্চলিক উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেলআউটের জন্য ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্থ হয়।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সংলাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের আর্থিক এবং মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
এসএস