ড্যাপ পাসের পর স্থবিরতা নামে আবাসন খাতে : রিহ্যাব সভাপতি

ড্যাপ পাসের পর স্থবিরতা নামে আবাসন খাতে : রিহ্যাব সভাপতি

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেছেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) কারণে আবাসন খাতে ব্যাপক মাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। ড্যাপ পাসের পর থেকেই ঢাকা শহরের উন্নয়ন একেবারেই থমকে গেছে।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেছেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) কারণে আবাসন খাতে ব্যাপক মাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। ড্যাপ পাসের পর থেকেই ঢাকা শহরের উন্নয়ন একেবারেই থমকে গেছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, আগামী দিনে প্রধান উপদেষ্টা এবং তরুণ ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যমুক্ত দেশে রূপান্তরিত হবে। নানা চড়াই-উৎরাই এবং সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে আবাসন খাত এগিয়ে গেলেও সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হয় ২০২২ সালের ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) এর প্রজ্ঞাপন জারির পর।

তিনি বলেন, একটি সুন্দর ও সময়োপযোগী ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ কে উপেক্ষা করে ও মাস্টার প্ল্যান-২০১০ কে অন্যায়ভাবে রহিত করা হয়েছ। এর মাধ্যমে আবাসন খাতকে কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মদদ পুষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই কাজ করেন। ড্যাপ প্রকাশের এক বছরের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে কিছু সংশোধন করা হলেও আবাসন শিল্পের স্থবিরতা কাটেনি এবং জনগণের অসন্তোষ বিদ্যমান রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান বৈষম্যমূলক বিষদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০২২-২০৩৫ অনুসারে ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় পূর্বে ভবনের যে আয়তন পাওয়া যেত এখন তার প্রায় ৬০ শতাংশ পাওয়া যায়। ফলে ডেভেলপাররা নতুন কোন প্রকল্প নিতে পারছেন না। আবার যারা ব্যক্তি উদ্যোগে বাড়ি করেন তারাও প্ল্যান পাশ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, অনেক এলাকায় আগে যেখানে ৮তলা ভবন তৈরি করা যেত সেখানে এখন ৪-৫ তলা ভবন তৈরি করতে হচ্ছে। আগামী এক বছর পর থেকে সংকট আরও মারাত্মক হবে এবং আবাসন শিল্প কোমায় চলে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যমূলক বিষদ অঞ্চল পরিকল্পনা ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) বাতিল করার দাবি জানান রিহ্যাব নেতরা। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ ও মাস্টার প্ল্যান (ড্যাপ)-২০১০ বিধি অনুসারে ভবনের নকশা অনুমোদনের দাবিও তুলে ধরা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, সহ-সভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক, প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ প্রমুখ।

আরএইচটি/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *