বছরজুড়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক কর্মতৎপরতা দেখা যায়। তবুও প্রতি বছরই ভয়ংকর রূপ দেখিয়ে যাচ্ছে ডেঙ্গু। তবে চলতি বছরের পরিস্থিতি অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু ব্যতিক্রম। কারণ, অভিভাবকশূন্য সিটি কর্পোরেশনের কাজের ধারাবাহিকতায় ভাটা পড়েছে। মেয়র-কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে আগের চেয়েও বেশি আতঙ্কিত নগরবাসী।
বছরজুড়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক কর্মতৎপরতা দেখা যায়। তবুও প্রতি বছরই ভয়ংকর রূপ দেখিয়ে যাচ্ছে ডেঙ্গু। তবে চলতি বছরের পরিস্থিতি অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু ব্যতিক্রম। কারণ, অভিভাবকশূন্য সিটি কর্পোরেশনের কাজের ধারাবাহিকতায় ভাটা পড়েছে। মেয়র-কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে আগের চেয়েও বেশি আতঙ্কিত নগরবাসী।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, চলতি বছর আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে ডেঙ্গু। বহু মানুষের মৃত্যুর শঙ্কাও রয়েছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলররা অফিস করছেন না, এক কথায় তারা লাপাত্তা। কারণ, মেয়র-কাউন্সিলরদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের সমর্থক।
দুই সিটির ১৭২ কাউন্সিলরের মধ্যে ১৮ জন বিএনপিপন্থি। ওই ১৮ জন ছাড়া অন্য কোনো কাউন্সিলর অফিস করছেন না। যার ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ, মশকনিধনসহ নাগরিকসেবার অন্যান্য কাজগুলোতে ভাটা পড়েছে।
এ অবস্থায় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে মেয়রের স্থলে প্রশাসক বসিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা নাগরিকসেবায় কাজ শুরু করলেও মেয়র-কাউন্সিলরদের মতো তাদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। যদিও মেয়র-কাউন্সিলর থাকাকালীন সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে খুব একটা সুফল ভোগ করেনি নগরবাসী। আর এ বছর নগর কর্তাদের ‘ছন্নছাড়া’ অবস্থার মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে নগরবাসী।
চলছে ডেঙ্গুর পিক সিজন, দেখা নেই মশকনিধন কর্মীর
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মমিনুল ইসলাম। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিজ এলাকায় মশকনিধন কর্মীদের তিনি দেখেননি। যেখানে মশা নিধনে ওষুধ ছেটানো তো দূরের কথা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের এলাকাসহ আশেপাশের এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহে সিটি কর্পোরেশনের কোনো মশকনিধন কর্মী দেখতে পাইনি। ইদানিং বেড়েছে মশা। ডেঙ্গুর পিক সিজন চলছে। আগে তো কাউন্সিলররা এলাকার মশকনিধন কার্যক্রম তদারকি করতেন। কিন্তু এখন তো কাউন্সিলররাও নেই, ফলে কোনো ধরনের তদারকি নেই।
তিনি বলেন, মশকনিধন কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করছে। যেদিন ইচ্ছা আসছে, যেদিন ইচ্ছা হচ্ছে না সেদিন আসছে না। এসব কারণে ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা সাধারণ নাগরিকরা। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু মোকাবিলার যে প্রস্তুতি থাকে এবার সেটাও দেখা যাচ্ছে না।
একই কথা বলছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বাসাবো এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হাসিবুর রহমান।
তিনি বলেন, অন্যান্য বছর ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি কর্পোরেশনের কিছু না কিছু প্রস্তুতি থাকত। কিন্তু এ বছর কোনো মেয়র নেই, কাউন্সিলর নেই। কোনো প্রস্তুতিও দেখতে পাচ্ছি না। এবার যে পরিস্থিতি কী হবে, তা ভাবতেও ভয় লাগে। এলাকাভিত্তিক মশকনিধন কার্যক্রমগুলো ধীরগতিতে চলছে। আমরা কোনো মশকনিধন কর্মীর দেখাও পাই না। তাছাড়া, এ বছর সব এলাকায় মশাও অনেক বেড়েছে। এবার ডেঙ্গু আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
রোগীর ঢেউ আসার আগেই হাসপাতালে পা ফেলার ঠাঁই নেই
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর পিক সিজন সাধারণত ধরা হয় অগাস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে। তবে এখনই দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তার ওপর দেশে এখন এডিস মশার প্রজননের মূল মৌসুম হওয়ায় মানুষের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক, উদ্বেগ ও শঙ্কা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কথা বলা হচ্ছে। তবে বাস্তব চিত্র বলছে, রোগীর ঢেউ আসার আগেই হাসপাতালগুলোতে পা ফেলার ঠাঁই নেই। বাধ্য হয়ে রোগীরা হাসপাতালের মেঝে-বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার অতিরিক্ত রোগীর চাপে দম ফেলারও ফুরসত পাচ্ছেন না চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে, সরকারি হিসাবে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮৬৮। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে মৃত্যুর হার। চলতি বছরও একই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৯ হাজার ৩৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের।
বর্তমানে দিন কিংবা রাত, ঘরে কিংবা বাইরে, বাসা কিংবা অফিস সব জায়গায় এখন মশার উপদ্রব। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগীতে ভরে গেছে। এ অবস্থায় আতঙ্কে ভুগছেন রাজধানীবাসী।
অসহায় নগরবাসী, কয়েল-অ্যারোসলেও রেহাই মিলছে না
বিভিন্ন সময়ে রাজধানীবাসী যানজট, জলাবদ্ধতা, গ্যাস কিংবা পানির সংকটের মতো নানা সমস্যার মুখে পড়েছেন। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে আলোচনায় এখন মশার উপদ্রব আর ডেঙ্গু আতঙ্ক। ডেঙ্গুর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। ক্ষুদ্র মশার উৎপাতে রীতিমতো অসহায় মেগাসিটির বাসিন্দারা। কয়েল জ্বালিয়ে কিংবা অ্যারোসল দিয়েও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দিনের বেলায়ও মশারি টানাতে হচ্ছে অনেককে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকার দুই সিটির ১৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট মানদণ্ডের চেয়ে বেশি। সেখানে বলা হয়— দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর হার বেশি। এর অর্থ হচ্ছে এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এলাকাগুলো ডেঙ্গুর উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো– ১২, ১৩, ২০, ৩৬, ৩১, ৩২, ১৭ ও ৩৩। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো– ৪, ১৩, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ ও ২৩।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। অথচ ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গতানুগতিক প্রস্তুতিতে সীমাবদ্ধ রেখেছে তাদের কার্যক্রম।
অপ্রতিরোধ্য এডিস মশা
প্রতি বছরে শত কোটি টাকা খরচ করেও রাজধানীবাসীকে মশার কবল থেকে মুক্তি দিতে পারছে না দুই সিটি কর্পোরেশন। নানা পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেওয়া হলেও সবকিছু ব্যর্থ করে দিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে বিস্তার হচ্ছে এডিস মশা।
বিগত বছরগুলোতে মশা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। দুই বছর আগে মশার উৎপত্তিস্থল খুঁজতে আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করেছিল ডিএনসিসি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যখন ড্রোন ব্যবহারের সার্বিক দিক নিয়ে আরও বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে, তখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) মশা মারতে অভিনব এক পদ্ধতি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছিল। মশা মারতে দুই বছর আগে খাল, নালা, ড্রেনসহ বিভিন্ন জলাশয়ে ব্যাঙ ছেড়েছিল সংস্থাটি।
ওই সময় ডিএসসিসি মনে করেছিল, জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য কাজে লাগিয়ে ব্যাঙগুলো পানিতে ভাসতে থাকা মশার লার্ভা খেয়ে ফেলবে। ফলে সেসব স্থানে মশা আর বংশবিস্তার করতে পারবে না। এ ছাড়া, জিঙ্গেল বাজিয়েও মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে তারা। এমন নানা উদ্যোগ নিয়েও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নগরবাসীকে মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা করতে পারেনি।
অপরদিকে দুই বছর আগে মশার উৎপত্তিস্থল খুঁজতে আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করেছিল ডিএনসিসি। পরবর্তীতে ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজননস্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় সংস্থাটি। যদিও এসব তেমন কোনো কাজে আসেনি।যা বলছেন দায়িত্বশীলরা
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মশকনিধন সুপারভাইজার সাজেদুর রহমান বলেন, সামনে ডেঙ্গু আরও বাড়তে পারে— এমন বিষয় বিবেচনায় রেখে আমার নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কাজের কোনো কমতি নেই। তবে এ কথা ঠিক যে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বর্তমানে কাউন্সিলর না থাকার কারণে কাজের কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। তবুও আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার মশকনিধন কর্মী হাফিজুল ইসলাম বলেন, আগে কাউন্সিল অফিস থেকে কাজের দিকনির্দেশনা আসতো, এখন মশকনিধন সুপারভাইজার আমাদের কাজ ভাগ করে দেয়। সে অনুযায়ী আমরা মশার ওষুধ ছেটানোর কাজ করি। এখন যদি কেউ বলে আমাদের দেখা যায় না, তাহলে সে ভুল বলেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী বলেন, নিয়মিত ও বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে সফলভাবে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, এডিস মশার লার্ভা বিনষ্ট এবং জীবন্ত ও উড়ন্ত মশা নিধনের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং করা হচ্ছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর যে তালিকা পায়, আমরা সেসব রোগীর ঠিকানা অনুযায়ী বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এই সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
ডিএনসিসির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে একযোগে ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, কোনো এলাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে হটস্পট ম্যানেজমেন্ট করতে হয়। এই মুহূর্তে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে প্রতিটি বাড়ির চতুর্দিকে ফগিং করে মশা মারতে হবে। যেন কোনোভাবেই ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশাটি অন্য কাউকে আক্রান্ত করতে না পারে। ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেওয়া হাসপাতালগুলোর চতুর্দিকে নিয়মিত ফগিং করতে হবে যেন সেখানে কোনো এডিস মশা বেঁচে না থাকে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায় সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে চলেছে। সেপ্টেম্বর মাসে একে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অক্টোবরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে ডেঙ্গু সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। সিটি কর্পোরেশন ও নগরবাসীর সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে ডেঙ্গু সমস্যার একটি টেকসই স্থায়ী সমাধানের দিকে যেতে হবে।
এএসএস/এমজে