নার্সদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশে অবস্থান ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে নার্সিং সংস্কার পরিষদ। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের সব স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) ও সব নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে সংগঠনটি।
নার্সদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশে অবস্থান ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে নার্সিং সংস্কার পরিষদ। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের সব স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) ও সব নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে সংগঠনটি।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নার্সিং সংস্কার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর বলেছেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার ভিত্তিতে নার্সদের ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তার এই মন্তব্য নার্সদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অবিলম্বে আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নার্সিং প্রতিনিধিদেরকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ার পরও গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে রেজিস্ট্রার পদে পুনরায় নন-নার্সিং প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে, যা চলমান আন্দোলনকে উস্কে দেওয়ার শামিল। এমন সিদ্ধান্ত নার্সিং সমাজ তা ঘৃণা সহকারে প্রত্যাখ্যান করে।
এরই প্রতিবাদে সারাদেশে অবস্থান ও প্রতিবাদ কর্মসূচির পাশাপাশি ঢাকার সব হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নার্সিং কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে অবস্থান ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে। এমনকি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ডিজিএনএম এবং বিএনএমসির সব প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
নার্সিং শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ১২ সেপ্টেম্বর একজন নন-নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নার্সিং অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের দক্ষতাকে অবমূল্যায়িত করছে।
তারা বলেন, নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিচালক পদগুলো নার্সদের জন্য। কিন্তু এই জায়গাগুলো আমলারা, প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন দখল করে রেখেছেন। নার্সিং কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদটিও তাদের দখলে। আমাদের দাবি হচ্ছে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং নার্সিং কাউন্সিল থেকে প্রশাসনিক ক্যাডারদের অপসারণ করে নার্সদের পদায়ন করতে হবে।
টিআই/জেডএস