ডিএসসিসির বরখাস্ত হওয়া প্রকৌশলী দলবল নিয়ে এলেন অফিস করতে

ডিএসসিসির বরখাস্ত হওয়া প্রকৌশলী দলবল নিয়ে এলেন অফিস করতে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ঘনিষ্ঠ খ্যাত ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান গেল কয়েকদিন আগেই বরখাস্ত হয়েছিলেন। সেই কর্মকর্তা সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বহিরাগত একদল লোক নিয়ে নগর ভবনে ঢোকেন। আগের মতোই নিজ দপ্তরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অফিস করেছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ঘনিষ্ঠ খ্যাত ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান গেল কয়েকদিন আগেই বরখাস্ত হয়েছিলেন। সেই কর্মকর্তা সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বহিরাগত একদল লোক নিয়ে নগর ভবনে ঢোকেন। আগের মতোই নিজ দপ্তরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অফিস করেছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের অপসারণের দাবি তুলেছিলেন তাদের মধ্যেই অনেকে অভিযোগ তুলেছে, বিএনপি নেতাদের যোগসাজশে নগর ভবনে আজ ফিরে এসেছেন এই কর্মকর্তা। পাশাপাশি বরখাস্ত হওয়ার পরও আশিকুর রহমানের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ডিএসসিসির প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৩ আগস্ট দেশ ছাড়েন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। পরদিন থেকে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমন আন্দোলনে ডিএসসিসি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। পরে গত ১৪ আগস্ট ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে আশিকুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই আদেশে তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতির অভিযোগে গুরুদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা দক্ষিণ কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, আশিকুর রহমানের পক্ষ হয়ে যারা আজ নগর ভবনে মহড়া দিয়েছেন, তারা সবাই বিএনপির স্থানীয় নেতা। তাদের সঙ্গে করেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান এই প্রকৌশলী নগর ভবনে আসেন এবং সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আজ অফিস করেন। ধারণা করা হচ্ছে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তিনি অফিসে এসেছেন। এদিকে এই কারণেই সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিবসহ কেউ প্রতিবাদ বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হয়তবা সাহস পাননি।

এএসএস/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *