যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ায় ভোটগ্রহণে ব্যাপক কারচুপির যে অভিযোগ করেছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন শহরটির কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’, ‘অসত্য’ ও ‘বন্য’ বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ায় ভোটগ্রহণে ব্যাপক কারচুপির যে অভিযোগ করেছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন শহরটির কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’, ‘অসত্য’ ও ‘বন্য’ বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শুরুর দিন নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “ফিলাডেলফিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। অনেকেই অভিযোগ করেছেন। আইশৃঙ্খলা বাহিনী কিন্তু আসছে!”
ট্রাম্প এই বার্তা দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ফিলাডেলফিয়ার প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি) ল্যারি ক্রাসনার সাংবাদকিদের বলেন, “এটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন, বন্য একটি অভিযোগ। এ অভিযোগের পক্ষে যদি কোনো তথ্য-প্রমাণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে থাকে, আমরা এখনই তা দেখতে চাই।”
ফিলাডেলফিয়া সিটি কর্পোরেশেন কমিশনার এবং রিপাবলিকানপন্থি রাজনীতিবিদ সেথ ব্লুস্টেইনও ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “এ অভিযোগের একদমই কোনো সত্যতা নেই। ফিলাডেলফিয়া ভোটগ্রহণ নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে।”
এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প। ভোট পুনর্গণনা ও নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের দাবিতে আদালতে একাধিক মামলাও দায়ের করেছিলেন তিনি। তবে তার সেসব মামলাকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
ধারণা করা হচ্ছিল, এবার যদি পরাজিত হন— তাহলে আগেরবারের মতোই অসহিষ্ণু আচরণ করবেন তিনি। তবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি যে আগের থেকে এখন অনেক পরিণত।
গতকাল সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, এবারের নির্বাচনে পরাজিত হলে তিনি মেনে নেবেন কি না। উত্তরে তিনি বলেন, “নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, তাহলে সবার আগে আমি সবার আগে তার ফলাফল মেনে নেবো।
সূত্র : এএফপি
এসএমডব্লিউ