‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমার পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া। এবার এ পরিচালকের প্রথম স্ত্রীর রহস্য উন্মোচন করলেন বলিউডের আরেক পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমটিই জানিয়েছেন।
‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমার পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া। এবার এ পরিচালকের প্রথম স্ত্রীর রহস্য উন্মোচন করলেন বলিউডের আরেক পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমটিই জানিয়েছেন।
সঞ্জয় লীলা বনশালি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার পক্ষে ছবির দুনিয়ায় আসা অসম্ভব ছিল। যে ছেলেটা ভিন্ডি বাজারের কাছে থাকে, সে কী করে এই দুনিয়ায় আসবে! সে কারও সঙ্গে গুছিয়ে কথা বলতে পারে না, কোনও বন্ধু নেই, সাহায্য করার জন্য কোনও প্রভাবশালী নেই- আছে শুধু অনেকটা খোলা পথ পড়ে সামনে।’
এ পরিচালক জানান, এই সময়ে দিদি বেলা সেহগল তার ছবির দুনিয়ায় আসায় প্রথম পদক্ষেপ নেন। তিনি বিধু বিনোদ চোপড়ার টিমে কাজ করতেন। বেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে সঞ্জয়কে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিধু বিনোদ চোপড়ার প্রথম স্ত্রী রেণু চোপড়াকে অনুরোধ করেছিলেন।
বনশালি বলেন, ‘তিনিই বিধু বিনোদ চোপড়াকে আমায় দলে নিতে জোর করেছিলেন। বিধু বিনোদ চোপড়া অবশ্য দেখা করার পর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আমাকে নিবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। পরে তার স্ত্রী জোর করায় আমায় কাজ দেন।’
শেষে বনশালির ভাষ্য, ‘ওর দলে কাজ করা আমায় যেন ইস্পাতে পরিণত করেছে। ওর সঙ্গে ৮ বছর কাজ করার পরে কোনও সমস্যার মুখে দাঁড়াতেই আর ভয় পাই না। এখনও ওর ফোন এলে উঠে দাঁড়িয়ে কথা বলি। যিনি আমার জীবন আমূল বদলে দিয়েছেন, তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতাবোধ এমনই।’
প্রসঙ্গত, বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘১৯৪২: আ লাভ স্টোরি’ ছবির সহ-লেখক ছিলেন বনশালি। পরিন্দা ছবির তিনি ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। ১৯৯৮ সালে দুজনের করিব ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। যদিও বনশালি ছবিটা পরিচালনার ভার প্রত্যাখ্যান করেন। বদলে তার পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল দিয়ে।
এমআইকে