বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ভারী বৃষ্টির কারণে শনিবার সকাল থেকে ব্যস্ততম ভোলা জেলা শহরের সদর রোড অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে দেখা যায়নি। বেলা গড়িয়ে দুপুরেও সড়কে কয়েকটি অটোরিকশা ছাড়া তেমন কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ভারী বৃষ্টির কারণে শনিবার সকাল থেকে ব্যস্ততম ভোলা জেলা শহরের সদর রোড অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে দেখা যায়নি। বেলা গড়িয়ে দুপুরেও সড়কে কয়েকটি অটোরিকশা ছাড়া তেমন কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।
এদিকে, বৈরী আবহাওয়ায় শুক্রবার রাতে সাগর মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে ৮ জেলে নিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার এখনো নিখোঁজ রয়েছে, যার খোঁজ এখনও মেলেনি। এতে চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে জেলে পরিবারগুলো।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে পানি জমে আমন ধানের মাঠের ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এ ধারা রোববার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের আমন ধান চাষি কৃষক মো. ছিদ্দিক মিয়া জানান, আমি ৩২ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় এক একর জমিতে আমনের চারা (রোপা) লাগিয়েছিলাম। আগস্টে অতি জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে সব চারা পচে গেছে। পরে আবার চারা কিনে জমিতে লাগাইছি। এখন আবার জমিতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে, জমি থেকে যদি পানি দ্রুত না নামে তাহলে দ্বিতীয় দফায় সব শেষ হইয়া যাইব।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে আজ শনিবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থা আগামীকাল পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, মাঠে আমনের রোপা লাগানোর কার্যক্রম চলছে। বৃষ্টিতে আমন আবাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না বলে আশাবাদী তিনি।
মো. খাইরুল ইসলাম/জেডএস