হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন কোরআন উপস্থিত হয়ে বলবে, ‘হে প্রভু! তাকে (কুরআন পাঠকারীকে) অলংকৃত করুন। তাকে সম্মানের মুকুট পরানো হবে। আবারো কুরআন বলবে, ‘হে প্রভু! তাকে আরও অলংকার প্রদান করুন। এবার তাকে সম্মানের পোশাক পরানো হবে। অতপর (কোরআন) বলবে, ‘হে প্রভু! আপনি ওর উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান।’ আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হবেন।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন কোরআন উপস্থিত হয়ে বলবে, ‘হে প্রভু! তাকে (কুরআন পাঠকারীকে) অলংকৃত করুন। তাকে সম্মানের মুকুট পরানো হবে। আবারো কুরআন বলবে, ‘হে প্রভু! তাকে আরও অলংকার প্রদান করুন। এবার তাকে সম্মানের পোশাক পরানো হবে। অতপর (কোরআন) বলবে, ‘হে প্রভু! আপনি ওর উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান।’ আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হবেন।
তারপর তাকে বলা হবে, ‘তুমি পাঠ করতে থাক আর মর্যাদায় উন্নীত হতে থাক।’ আর প্রত্যেকটি আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে সওয়াব বৃদ্ধি করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯১৫)
আরেক হাদিসে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পবিত্র কোরআনের পাঠক, হাফেজ ও তার উপর আমলকারীকে (কিয়ামতের দিন) বলা হবে, ‘তুমি কোরআন কারীম পড়তে থাক ও চড়তে থাকো। আর ঠিক সেইভাবে স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে পড়তে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা, (জান্নাতের ভিতর) তোমার স্থান ঠিক সেখানে হবে, যেখানে তোমার শেষ আয়াতটি শেষ হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৬৬, তিরমিজি, হাদিস : ২৯১৪)
জান্নাতে কোরআন তিলাওয়াতকারীর অবস্থান নিয়ে আরেক হাদিসে আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোরআন তেলাওয়াতকারী যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন তাকে বলা হবে, (কোরআন) পাঠ করো ও (জান্নাতের) মর্যাদায় উন্নীত হতে থাকো। সুতরাং সে পাঠ করবে এবং প্রত্যেক আয়াতের বিনিময়ে একটি করে মর্যাদায় উন্নীত হবে। এইভাবে সে তার (মুখস্থ করা) শেষ আয়াতটুকুও পড়ে ফেলবে। (আহমাদ, হাদিস : ১১৩৬০, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৭৮০)
অনেকেই কোরআন তিলাওয়াত করেন না ঠিকমতো। শিখে ভুলে যান। এমনটি উচিত নয়। রাসূল সা. কোরআনের যত্ন নিতে বলেছেন এবং নিয়মিত তিলাওয়াত করতে বলেছেন। হজরত আবু মুসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
এই কোরআনের প্রতি যত্ন নাও। (অর্থাৎ, নিয়মিত পড়তে থাকো ও তার চর্চা রাখ।) সেই মহান সত্তার কসম, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন আছে, উট যেমন তার রশি থেকে অতর্কিতে বের হয়ে যায়, তার চেয়ে অধিক অতর্কিতে কোরআন (স্মৃতি থেকে) বের হয়ে (বিস্মৃত হয়ে) যায়। (অর্থাৎ,খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকে।) (বুখারি, হাদিস : ৫০৩৩, মুসলিম, হাদিস : ১৮৮০)