এবারে কাবেরী অন্তর্ধান ছবিটির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। গত শুক্রবার ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সেখানে সেরা বাংলা ছবির সম্মান গেল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাবেরী অন্তর্ধান’র ঝুলিতে।
এবারে কাবেরী অন্তর্ধান ছবিটির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। গত শুক্রবার ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সেখানে সেরা বাংলা ছবির সম্মান গেল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাবেরী অন্তর্ধান’র ঝুলিতে।
কৌশিক এই ছবিটির পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছিলেন। বিনিময়ে পেলেন জাতীয় সম্মান! কিন্তু এত বড় অর্জনের পরও কেন খুশি নেই এই পরিচালক?
সম্প্রতি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল পুরো পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রতিবাদের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির অন্যান্য রাজ্যেও। বিশ্বগণমাধ্যমের শিরোনামেও জায়গা নিয়েছে এই ভারতের এই নৃশংস কাণ্ডের খবর। এমন পরিস্থিতিতে কৌশিক জানালেন, পুরস্কার সম্মাননার মত আনন্দের খবর পাওয়া সত্বেও কোনোরকম উদযাপনের মুডে নেই তারা।
জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৌশিক বলেন, ‘আমি জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করছি। অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবিটির জন্য সেরা বাংলা ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করছি। আমি গীতা টিমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন এই আনন্দের খবর পাওয়া সত্বেও আমরা উদযাপনের মুডে নেই। উদযাপন করতে পারছি না। বাংলার যা বর্তমান অবস্থা তাতে এটা সম্ভব নয়।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাবেরী অন্তর্ধানের গল্পটি আবর্তিত হয়েছে দুজন মেয়েকে নিয়ে, তাদের নিজ নিজ সমস্যা নিয়ে। দুই মেয়ের ভাগ্য তাদের কোন পথে নিয়ে যায় সেটা নিয়েই ছিল এই ছবি। আর এখন বাংলাতেও যেন সেই জিনিস ঘটে গেল। আরজি করের এই মহিলা চিকিৎসকের ভবিষ্যৎ কী হয়, তিনি ন্যায় বিচার পান কিনা সেটার দিকেই মুখিয়ে আছে জনগণ। ফলে কোথাও যেন বিষয়টা গিয়ে সিনেমার সঙ্গে মিশে গেছে। তাই এখন উদযাপন, আনন্দের এতটুকু মুড নেই।’
‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবিটি ১৯৭০ এর দশকের নক্সাল আন্দোলনের সময়কে প্রেক্ষাপটে রেখে তৈরি করা হয়েছিল। এটি একটি থ্রিলার ছবি। এখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, কৌশিক সেন, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, প্রমুখ।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এর আগেও দুটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১২ সালে ‘শব্দ’ ছবিটির জন্য সেরা বাংলা ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান। আর ২০১৬ সালে ‘বিসর্জন’ ছবিটির জন্য ওই একই বিভাগে পুরস্কার পান। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত শেষ ছবি ‘অযোগ্য’। এই ছবিটিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও শিলাজিৎ মজুমদার।
ডিএ