জনগণ সমর্থন করলে জনপ্রতিনিধি হব : নুরুল হক নুর

জনগণ সমর্থন করলে জনপ্রতিনিধি হব : নুরুল হক নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, মেরুদণ্ডহীন রাজনীতিবিদ হতে চাই না। জনগণ যদি আমাদেরকে সমর্থন করে আমরা জনপ্রতিনিধি হব। আমাদের পরিষ্কার ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদ আগামী নির্বাচন যখন হবে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেব। আমরা এখন থেকেই যারা জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে সেই সমস্ত প্রার্থীদের বিষয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, মেরুদণ্ডহীন রাজনীতিবিদ হতে চাই না। জনগণ যদি আমাদেরকে সমর্থন করে আমরা জনপ্রতিনিধি হব। আমাদের পরিষ্কার ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদ আগামী নির্বাচন যখন হবে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেব। আমরা এখন থেকেই যারা জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে সেই সমস্ত প্রার্থীদের বিষয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনার আমতলী উপজেলার পৌরশহরের চৌরাস্তা নামক এলাকার একটি পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল। গণঅধিকার পরিষদের আগামী দিনের কার্যক্রম এবং গণঅধিকার পরিষদ যেন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে পারে সেই লক্ষে সহযোগিতা ও দোয়া চাই। রাজনৈতিক সকল বিরোধী দল মিলে হাসিনার পতনের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে সেটি সফল হওয়া যায়নি। এই জুলাই বিপ্লবে ছাত্রজনতার সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এ গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পরে আমরা আগামীতে একটা গণতান্ত্রিক সহনশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকেরা গরুর বাজার, সবজির বাজার, বাসস্ট্যান্ড, অটোস্ট্যান্ড ও বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং মানুষকে নির্যাতন নিপীড়নসহ মানুষের ওপরে জুলুম করেছে। তা আমরা চাই না। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ মনে করেছে বাংলাদেশটা তাদের দলীয় সম্পত্তি। এলাকায় শুধু তারাই থাকবে অন্য কোনো মতভেদের মানুষের থাকার অধিকার নেই, প্রোগ্রাম মিটিং মিছিল করার অধিকার নেই। যার ফলে ভিন্ন মতের রাজনীতি করার কারণে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের অসংখ্য হামলার শিকার হতে হয়েছে, মামলার আসামি হতে হয়েছে।

ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে গণঅধিকার পরিষদের একটা নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, প্রথাগত এবং পুরোনো রাজনীতি ও নেতৃত্ব দিয়ে এই দেশের পরিবর্তন হবে না। এই দেশের পরিবর্তন করার জন্য নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য প্রয়োজন আমাদের নতুন রাজনীতি ও নতুন নেতৃত্ব। সবাই মিলে আমরা এই সমাজ এবং রাষ্ট্রকে পাল্টে দেব। অনেক মানুষ ৭১ এ জীবন দিয়েছে তার বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। নব্বইয়ে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণ হয়নি। আমরা বলতে চাই এই পুরোনো এনালগ রাজনীতিকে না বলুন। তরুণদের নেতৃত্বে তারুণ্যের রাজনীতিকে হ্যাঁ বলুন। আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলুন। 

গণঅধিকার পরিষদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ একটি রাজনৈতিক দল। আমরা দেশের মানুষকে ম্যাসেজ দিতে চাই মানুষ নতুন রাজনীতি, নতুন নেতৃত্ব চায়। আমরা এখন থেকেই যারা জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে সেই সমস্ত প্রার্থীর বিষয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শুধু গণঅধিকার পরিষদের নেতারা হবে না। সমাজে গ্রহণযোগ্য, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য, যার ভালো ইমেজ আছে সে যদি গণঅধিকার পরিষদ থেকে রাজনীতি করতে চায়, আমাদের বিচার বিবেচনায় যদি উপযুক্ত মনে হয় সে গণঅধিকার পরিষদ থেকে নির্বাচন করতে পারবে। গণঅধিকার পরিষদের নীতি আদর্শের এবং এই গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে যারা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত থাকবে এবং সাথে থাকবে সে যে পরিবার ও যে লেভেলের হোক তার এই প্ল্যাটফর্মের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।

আব্দুল আলীম/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *