নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ছাত্র-জনতার গণধোলাইয়ের শিকার আব্দুস সহীদ (৪৩) নামে এক মাদক চোরাকারবারির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ছাত্র-জনতার গণধোলাইয়ের শিকার আব্দুস সহীদ (৪৩) নামে এক মাদক চোরাকারবারির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আব্দুস সহীদ সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইসমাইল মুহুরী বাড়ির মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে।
জানা গেছে, পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের মো. আবদুস সহিদ নামে এক ব্যক্তির কাছে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের পাইকারি বিক্রেতা; এমন খবর প্রচার হলে এলাকাবাসী তাকের আটক করে গণধোলাই দেয়। এরপর খবর পেয়ে ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ক্যাপ্টেন ইফতেখার আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দুটি পিকআপ এবং পুলিশের একটি পিকআপ যৌথ অভিযানে যায়। এ সময় একটি শটগানসহ দুলালের ছেলে মো. জামাল (৪৩), মো. কালা মিয়ার ছেলে মো. জাবেদ (২৮), আবু জাকেরের ছেলে মো. রিয়াদ ও মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে আব্দুস সহীদকে আটক করা হয়। তার আগেই ছাত্রজনতা তাদের মারধর করায় নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ভর্তি করানো হয়। এর মধ্যে আব্দুস সহীদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে নিহত আব্দুস সহীদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহত হওয়ার প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। পর ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন এবং আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
নোয়াখালী আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিফাত আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আটক চারজনকে অস্ত্রসহ আটকের আগে ছাত্র জনতা গণধোলাই দেয়। ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাদের ঘটনাস্থলে থাকা সুধারাম থানার পুলিশ সদস্যের নিকট হস্তান্তর করি। যৌথ বাহিনীর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ক্রেতা-বিক্রেতা ও সন্ত্রাসীদের আটক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
হাসিব আল আমিন/এসকেডি