গত ১৬ বছর ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরোধীমতের ওপর হামলা-নির্যাতন, ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, জুলাই অভ্যুত্থানে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
গত ১৬ বছর ধরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরোধীমতের ওপর হামলা-নির্যাতন, ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, জুলাই অভ্যুত্থানে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে রক্তাক্ত করেছে ছাত্রলীগ। নারী শিক্ষার্থীরাও ছাত্রলীগের নৃশংসতা থেকে এদিন রেহাই পায়নি। ঢাকা মেডিকেলকে মনে হচ্ছিল কোনো যুদ্ধের আহত ক্যাম্প। এই নরপশুরা সেদিন ঢাকা মেডিকেলের ভেতর চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও হামলার নির্মম নজির স্থাপন করেছিল। জুলাই বিপ্লবের পুরোটা সময় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগ ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়েছে এবং আন্দোলনকারীদের বিভিন্নভাবে বাধা দিয়েছে।
গণতদন্ত কমিটি গঠন ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, জুলাই বিপ্লবে ক্যাম্পাসগুলোতে হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে আগামীকাল গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জুলাই বিপ্লবের আগেও গত ১৬ বছর ধরে ছাত্রলীগের যারা নানা সময়ে নৈরাজ্য, হামলা, নির্যাতন-নিপীড়নে যুক্ত ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করতে হবে।
ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ দিলে প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে ছাত্রলীগের হামলাকারী ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে। এটাই জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান দাবি। এই দাবিতে কালক্ষেপণের সুযোগ নেই। কালক্ষেপণ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিলে শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে।
বিগত বছরগুলোতে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য তুলে ধরে হাসনাত বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের পোষ্য গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগ দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ছাত্রলীগ বিরোধীমতের শিক্ষার্থীদের ওপর নগ্ন হামলা, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে। এমনকি ছাত্রদল, ছাত্রশিবির কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের ওপরও অমানবিক নির্যাতন করেছে তারা।
কেএইচ/পিএইচ