চাঁদাবাজির সত্যতা পেয়েও যে কারণে যুবদল নেতাকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

চাঁদাবাজির সত্যতা পেয়েও যে কারণে যুবদল নেতাকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় চাঁদা দাবির অভিযোগে ফজলুল করিম নামে এক যুবদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে আটক করা হয়। আটক ফজলুল করিম সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক।

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় চাঁদা দাবির অভিযোগে ফজলুল করিম নামে এক যুবদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে আটক করা হয়। আটক ফজলুল করিম সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, শনিবার বিকেলে হালিশহর থানার বড়পুল এলাকায় আবুল খায়ের গ্রুপের একটি স্ক্র্যাপ গাড়ি আটকে রেখে চাঁদা দাবি করেন ফজলুল করিম ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনীর একটি টিম। তারা চাঁদা দাবির প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ফজলুলকে আটক করে হালিশহর থানায় হস্তান্তর করে।

পুলিশের একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে জানায়, ঘটনার পর থেকে ফজলুলকে ছাড়াতে তৎপরতা শুরু করে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। সীতাকুণ্ডে বাড়ি বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা তদবির করেন এ ঘটনায় কাউকে বাদী না হতে। এ কারণে চাঁদাবাজি মামলার বাদী হননি কেউ। ফলে ফজলুলকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। রাত ১০টার দিকে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতা ফজলুল দলবল নিয়ে অকারণে গাড়িটি আটকে রেখেছিলেন। ওইসময় তিনি গাড়ির মালিকের কোনো প্রতিনিধি এসে সমঝোতা না করা পর্যন্ত গাড়িটি ছাড়বেন না বলে হুমকি দেন।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, চাঁদা দাবির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছিল। এ ঘটনায় তো সেনাবাহিনীর কেউ বাদী হতে পারে না। আবার বিএনপি নেতাদের চাপে আবুল খায়েরের মালিকপক্ষের কেউ বাদী হননি। এ কারণে বাধ্য হয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার সব্যসাচী নাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফজলুলকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা না করায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এমআর/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *