২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে রীতিমতো কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। প্রতিযোগিতার অন্যতম ফেবারিট ভারত এখন পর্যন্ত দেশটিতে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার না করলেও পাকিস্তান বসে নেই। বিশাল বাজেট নিয়ে নিজেদের কাজে নেমে পড়েছে পিসিবি। এরইমাঝে শুরু হয়েছে করাচিতে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ।
২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে রীতিমতো কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। প্রতিযোগিতার অন্যতম ফেবারিট ভারত এখন পর্যন্ত দেশটিতে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার না করলেও পাকিস্তান বসে নেই। বিশাল বাজেট নিয়ে নিজেদের কাজে নেমে পড়েছে পিসিবি। এরইমাঝে শুরু হয়েছে করাচিতে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ।
জিও সুপারের খবর অনুযায়ী, করাচির স্টেডিয়ামে এখনই বেশ কিছু অংশ ভাঙা শুরু করা হয়েছে। ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে ভাঙনের কাজ চলছে। নাসিম-উল-গুলানি এবং ইকবাল কাসিম গেইটে চলছে এই সংস্কারকাজ। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে ভাঙা হবে করাচির স্টেডিয়ামের বিশাল স্কোরবোর্ড।
নতুন স্কোরবোর্ডের সঙ্গে থাকবে মিডিয়া বক্স, হসপিটালিটি বক্স এবং মিডিয়া গ্যালারি। ব্রডকাস্টার ও ধারাভাষ্যকারদের জন্য নতুন করে সাজানো হবে করাচির এই স্টেডিয়াম। এই মাঠেই অবশ্য ৩০ তারিখ থেকে বাংলাদেশ নামবে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের সেই সময়ে কাজ বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কেবল করাচিতেই না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানের প্রস্তাবিত বাকি দুই ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেও চলবে সংস্কার কাজ। সেজন্য বিশাল বাজেটেরও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানি মুদ্রায় ১২ দশমিক ৮০ বিলিয়ন রুপির বাজেট ধরা হয়েছে কেবল ৩ স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজে।
যদিও এসব আয়োজনের মাঝেই শঙ্কা আছে ভারতের অংশগ্রহণের। রাজনৈতিক বৈরিতা এবং নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান সফর থেকে বিরত আছে দলটি। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপেও পাকিস্তানে খেলতে যায়নি ভারত। সেবার শ্রীলঙ্কাকে করা হয়েছিল যৌথ আয়োজক। যদিও ভারত ছাড়া আসরের বাকি ৭ দলের সবাই পাকিস্তান সফর করেছে।
আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের তিন ভেন্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তাবনা এবং সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ভারতের সব ম্যাচই রাখা হয়েছে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান এককভাবে এই বৈশ্বিক আসরের আয়োজক হতে পারবে কি না– তা নিয়ে আছে বড় প্রশ্ন।
জেএ