এ বছর ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে কেন্দ্রীয় জুরি মেম্বারদের মধ্যে একমাত্র বাঙালি ছিলেন ছবি নির্মাতা ও পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। আর সেই মঞ্চ থেকেই চলতি বছরে মোট ৬টি পুরস্কার এসেছে বাঙালিদের জন্যই। কেন্দ্রীয় জুরি হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, কীভাবে কাজ হয় এই সমস্ত মঞ্চে তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেন শুভ্রজিৎ।
এ বছর ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে কেন্দ্রীয় জুরি মেম্বারদের মধ্যে একমাত্র বাঙালি ছিলেন ছবি নির্মাতা ও পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। আর সেই মঞ্চ থেকেই চলতি বছরে মোট ৬টি পুরস্কার এসেছে বাঙালিদের জন্যই। কেন্দ্রীয় জুরি হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, কীভাবে কাজ হয় এই সমস্ত মঞ্চে তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেন শুভ্রজিৎ।
কীভাবে এই সুযোগ এসেছিল শুভ্রজিতের কাছে, তার উত্তরে পরিচালক বলেন, ‘আমার কাছে সরকারের পক্ষ থেকেই আবেদন এসেছিল কেন্দ্রীয় জুরি হিসেবে কাজ করার। প্রথমেই আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, এই বছরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে আমার কোনও ছবি রয়েছে কি না? তারপরে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমার এই সময়ে কোনও ছবির মুক্তি রয়েছে কি না? সেই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই তারা সিদ্ধান্ত নেন। সাধারণত জুরিরা দুই ভাগে ভাগ হন, একটি আঞ্চলিক ও একটি কেন্দ্রীয়। এবার আঞ্চলিক জুরিতে বাঙালিরা থাকলেও, কেন্দ্রীয় জুরির দলে আমিই একমাত্র বাঙালি ছিলাম।’
এই ধরণের মঞ্চে ঠিক কীভাবে কাজ হয়, কোন পদ্ধতিতে সেরা ছবিগুলো বেছে নেওয়া হয়, তা নিয়ে শুভ্রজিৎ বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় জুরি হিসেবে যেহেতু সমস্ত ভাষার ছবিই দেখি, তাই আমাদের কোনওরকম ভাষাগত বিচার করা চলে না। আঞ্চলিক বা ভাষার উর্ধ্বে উঠেই আমাদের সেরা ছবিগুলি বেছে নিতে হয়। তার জন্য বেশ কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। সেগুলি আমাদের আগে থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েকদিন টানা সমস্ত রকম, সমস্ত ভাষার ছবিই দেখতে হয়েছে। বিচার করতে হয়েছে। দম নেওয়ার সময় পাইনি। তবে এও একটা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন ছবি দেখা তো রয়েছেই, পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষদের সঙ্গে কাজ করলাম, সেগুলিও মনে রাখার মতোই।
উল্লেখ্য, জুরি হিসেবে কোন পরিচালক বা অভিনেতা তখনই ডাক পান, যখন তার ঝুলিতে একটি জাতীয় পুরস্কার থাকে। শুভ্রজিৎ ‘অভিযাত্রীক’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
ডিএ