চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রামে-গঞ্জেও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলন এতদিন শহরকেন্দ্রিক ছিল। কিন্তু শনিবার (৩ আগস্ট) বিভিন্ন উপজেলায় নামেন বিক্ষোভকারীরা।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোহাগাড়া উপজেলায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দুপুরে লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। এরপর তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ধরে লোহাগাড়া সদরে পৌঁছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। সেখানে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা ভাঙচুর ও পরবর্তীতে আগুন দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা এমদাদিয়া মার্কেটে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায়।
প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে আন্দোলন চললে পুলিশকে বাধা দিতে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের কেউ মাঠে ছিল না। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে পিছু হটে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা লোহাগাড়া সদরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে।
এছাড়া সীতাকুণ্ড উপজেলার পৌর এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। সহস্রাধিক লোকজন বিক্ষোভ করলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম জেলার মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এমআর/এসকেডি