গ্রেপ্তার ৩৯০ আনসারকে কারাগারে প্রেরণ

গ্রেপ্তার ৩৯০ আনসারকে কারাগারে প্রেরণ

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে ভাঙচুর ও হামলার মামলায় রাজধানীর পৃথক চার থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৩৯০ জন আনসারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে রমনা, শাহবাগ, পল্টন ও বিমানবন্দর থানার পৃথক চার মামলায় তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে ভাঙচুর ও হামলার মামলায় রাজধানীর পৃথক চার থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৩৯০ জন আনসারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে রমনা, শাহবাগ, পল্টন ও বিমানবন্দর থানার পৃথক চার মামলায় তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার ১৯১ জন, রমনা থানায় ৯৮ জন, পল্টন থানায় ৯৫ জন ও বিমানবন্দর থানার মামলায় ৬ আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে আনা হয়। এ চার থানার মামলায় অন্তত ৪২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। এছাড়াও অন্তত দশ হাজার অজ্ঞাতপরিচয় আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

এসব মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে সাধারণ আনসার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় কিছু আনসার সদস্যরা পল্টন মডেল থানাধীন জিরো পয়েন্ট এলাকায় চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজপথ অবরোধ করে রাখে। এসময় পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধ অমান্য করে রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা তাদের দাবি-দাওয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ আনসারদের পক্ষে কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন এবং আংশিক দাবি পূরণ করেন। এছাড়াও অন্যান্য যৌক্তিক দাবিগুলো একটি কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে আশ্বাস দেন।

কিন্তু সাধারণ আনসাররা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তথা বাংলাদেশ সচিবালয়ের চারপাশে অবস্থান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং জিরো পয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবরোধ করে দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবে মর্মে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

বাংলাদেশের সাধারণ আনসাররা একটি সু-শৃঙ্খলিত আনসার বাহিনীর সদস্য। বাংলাদেশ সচিবালয় রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তথা কেপিআই জানা সত্ত্বেও আনসার সদস্যরা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে অবস্থান করতে থাকে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ঘটনাস্থলে এলে তারা তাদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অসংখ্য পথচারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা গুরুতর আহত হয়। আনসার সদস্যরা রাস্তার ওপর আগুন ধরিয়ে দেয় এবং রাস্তায় চলাচলরত বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে।

এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/১৮৬/৩২৩/ ৩২৫/৩৫৩/৪২৭/৪৩৫/৪৩৬/১০৯/১১৪/৩৪ ধারায় পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা, অগ্নি-সংযোগ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এনআর/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *