শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়া রিকশাচালক আবু সুফিয়ানও পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়া রিকশাচালক আবু সুফিয়ানও পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ আবু সুফিয়ান সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ৪০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ৫ আগস্ট তিনি জামালপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সবশেষ তাকে উন্নত চিকিৎসায় রাজধানী ঢাকায় আনা হলেও আর সুস্থ হয়ে ফিরতে পারলেন না।
এতে আরও বলা হয়েছে, আবু সুফিয়ান পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আজ দুপুর ১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, জামালপুরের সাদুরপাড়া বটতলা গ্রামে বেড়ে ওঠা ২০ বছর বয়সী একজন সাধারণ মানুষ আবু সুফিয়ান। নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় পরিবারের সাধ্য ছিল না পড়াশোনা করানোর। তাই ছোটবেলা থেকেই অটোরিকশা চালাতেন সুফিয়ান। এমনকি অল্প বয়সে বিয়ে করে আট মাসের একটি ছেলে সন্তানের বাবাও হয়েছেন তিনি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই তিনি সক্রিয় ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সোমবারও (৩০ সেপ্টেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ দুইজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে একজন দশম শ্রেণির ছাত্র, তার নাম সাইফুল ইসলাম আরিফ। তার বাড়ি ফেনীতে। আরিফ ৪ আগস্ট আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন। তিনি সোমবার সকাল ৭টায় সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থা ইন্তেকাল করেন। অন্যজন হলেন কারীমুল ইসলাম, তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়। তিনি গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হন এবং সোমবার ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১৫৮১ জনের নিহতের খবর জানানো হয়। এছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৩১ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়। তবে এটি চূড়ান্ত নয় বলে জানান কমিটির সদস্যরা। অনেক আহতের তথ্য একাধিকবার এসেছে এবং অনেকের নাম এখনও এ তালিকায় যুক্ত হয়নি বলেও জানান তারা।
টিআই/এসএসএইচ