গাজী টায়ারের পোড়া কারখানায় মিলল মানুষের মাথার খুলি-হাড়গোড়

গাজী টায়ারের পোড়া কারখানায় মিলল মানুষের মাথার খুলি-হাড়গোড়

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ছয় তলা ভবনটিতে ঢুকে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় পেয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। ভবনটিতে পাওয়া দেহাবশেষ পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ছয় তলা ভবনটিতে ঢুকে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় পেয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা। ভবনটিতে পাওয়া দেহাবশেষ পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক গাজী টায়ারের কারখানায় আগুন নিয়ে গণশুনানি করেন। গণশুনানি শেষে স্বজনরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে ঢুকে পড়েন। তাদের অনেকে ভবনটির তৃতীয় তলা পর্যন্ত উঠে যান। সেখানে তারা মেঝেতে পুড়ে যাওয়া বেশ কিছু হাড় ও মাথার খুলি পান।

গত ২৫ আগস্ট দিনভর লুটপাটের পর রাতে কারখানাটিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন উপজেলার মৈকুলী গ্রামের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি শাহাদাত হোসেন। ভাইয়ের খোঁজে অন্যদের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির তৃতীয় তলা পর্যন্ত উঠে যান সিনথিয়া। সেখানে একটি মাথার খুলি পান তিনি। যার অধিকাংশই পুড়ে গেছে।

সিনথিয়া বলেন, সবার সঙ্গে আমিও ফ্যাক্টরিতে ঢুইকা যাই। তিন তলায় হাড়গোড় দেখছি অনেক। অনেকেই হাতে নিয়া গেছে। আমিও একটা খুলি নিয়া আসছি।

যদিও পরে অন্যদের মতো তিনিও পরে খুলিটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

এর আগে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি কারখানার চত্বরে গণশুনানির আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে গণশুনানি। এ সময় নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির লোকজন। তাদের কাছ থেকে নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

গণশুনানিতে ৭৮টি পরিবার অংশগ্রহণ করেন বলে জানান কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা যখন গণশুনানি শেষে উপজেলা পরিষদে গিয়ে বসি তখন জানতে পারি স্বজনরা ভবনটির ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং সেখানে মানুষের কিছু হাড়গোড় পেয়েছে। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের নির্দেশনা দেন। পরে আমরা এসব দেহাবশেষ সংগ্রহ করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেই। স্বজনরা খুঁজে পাওয়া দেহাবশেষ জমা দিয়েছেন। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এসব দেহাবশেষ শনাক্তের প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে। 

আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *