‘গণমাধ্যমে স্বৈরাচারের দোসর রয়ে গেছে’

‘গণমাধ্যমে স্বৈরাচারের দোসর রয়ে গেছে’

দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো অনেক মিডিয়াতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দালালরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখনও স্বৈরাচারের ওই দোসররা বহাল তবিয়তে রয়েছে। সেসব গণমাধ্যম স্বৈরাচার মুক্ত করতে হবে।

দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো অনেক মিডিয়াতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দালালরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখনও স্বৈরাচারের ওই দোসররা বহাল তবিয়তে রয়েছে। সেসব গণমাধ্যম স্বৈরাচার মুক্ত করতে হবে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকার : নারী সাংবাদিকদের ভূমিকা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি রোজী ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, সাংবাদিক মাহমুদা চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নারী শিক্ষার্থীরা অগ্ৰভাগে ছিলেন। তারা পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবুও নারীর কাঙ্ক্ষিত মুক্তি অর্জিত হয়নি। মিডিয়ায়ও নারীর অংশগ্রহণ অনেক কম। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাও মিডিয়া নিয়ে অনেক আগ্ৰহী। তাই তাদের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। তাছাড়া সব মিডিয়ায় অবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আজ গণঅভ্যুত্থানের প্রথম জাগরণ তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের নারী শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। সাংবাদিকতায়ও নারীদের বিশাল অবদান রয়েছে। পরিবর্তিত বাংলাদেশে নারী-পুরুষ মিলে দেশ গড়তে হবে। মানবিক বাংলাদেশ নেই বলে আজ নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। চলমান আন্দোলনে অসংখ্য শিশু ও নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এসব থেকে নারীকে রক্ষা করতে এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে খুনি হাসিনার বিচার করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল আমিন গাজী বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এ দেশের পুরুষের পাশাপাশি নারীরা যে ত্যাগ শিকার করেছে, তা নজিরবিহীন। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে পারলে সব শ্রেণির মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। সাংবাদিক জগতে স্বৈরাচারের দোসররা এখনও বিভিন্ন স্থানে রয়ে গেছে। এখনও পত্র-পত্রিকা স্বৈরাচারের দোসর মুক্ত করতে পারিনি, তবে মুক্ত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

ওএফএ/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *