খুলনায় খালেক-হারুন-মাহাবুবুরের নামে চাঁদাবাজির মামলা

খুলনায় খালেক-হারুন-মাহাবুবুরের নামে চাঁদাবাজির মামলা

খুলনায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ ও জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবুর রহমানের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

খুলনায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ ও জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবুর রহমানের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৬ অক্টোবর) ডাকবাংলো মোড়ের ব্যবসায়ী শেখ মো. মেরাজ হোসেন বাদী হয়ে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আনিছুর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মো. আনিছুর রহমান মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির উপকমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আদালত আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।  

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মেরাজ হোসেনের বাবা ২৮ বছর ধরে ডাকবাংলো মোড়ের হুগলি বেকারীর পেছনে জমি ইজারা নিয়ে ব্যবসা করছেন। এ হোসেন এন্টারপ্রাইজ নামে তাদের দোকানে প্রায় এক কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুন বিকেল ৩টায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তার বাবাকে জমির মূল কাগজপত্র নিয়ে ডেকে পাঠান। যাচাইয়ের কথা বলে মূল কাগজ রেখে দিয়ে ঘোরাতে থাকেন।

একপর্যায়ে ১২ জুন তিনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ওইদিন জেলা পরিষদে গেলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, টাকা না দিলে মূল কাগজ ফেরত দেওয়া হবে না এবং দোকানের বরাদ্দ বাতিলের হুমকি দেন। ওই দিন মাহবুব বলেন, ওই জমি কেসিসির অধীনে হস্তান্তর হওয়ায় মেয়রকেও ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। এই ৩০ লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় গত ২১ জুন রাত ১০টায় মেরাজ হোসেনের দোকানটি ভেঙে ফেলা হয়। এতে দোকানে প্রায় ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ওই সময় সদর থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। আসামিরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

মোহাম্মদ মিলন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *