বিগত সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেভাবে লাঠিপেটা করেছে, রাবার বুলেট ছুঁড়েছে, টিয়ারশেল সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে এবং সর্বশেষ সারাদেশে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে নিহত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার আমাদের পুলিশি বাধা দেওয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর রাবার বুলেট ছোঁড়া, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা যদি ৩৫ বছর যৌক্তিক দাবি হয়ে থাকে তাহলে আমাদের ওপর কেন এসব করা হলো?
গতকাল জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ প্রশ্ন তুলে ধরা হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী তাজরুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতায় যারাই যায় তারাই স্বৈরাচার হয়ে যায়। মানে ওই চেয়ারে কী আছে তা আল্লাহ্ই ভালো জানেন, যারা ওই চেয়ারে বসে তারাই স্বৈরাচার হয়ে যায়। আপনি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ছাত্রদের মাধ্যমে ক্ষমতায় চলে গেলেন। আর আপনি কোন যৌক্তিকতায় আমাদের ওপরে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলেন?
তাজরুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের তো যৌক্তিক দাবি ছিল। আমরা কোন রিকশাচালকের গায়ে হাত দেইনি। অবরোধ বা ঘেরাও কর্মসূচি করিনি। রাস্তা ব্লকও করি নাই, কোথাও ভাঙচুরও করি নাই। তাহলে আমাদের ওপরে কেন এরকম নির্যাতন করা হলো? আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা করেছিলাম।
চম্পক কুমার/এনএফ