কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপির তিন কর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ঘটনার ৬ বছর পর নিহতদের পরিবার মামলা করেছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুর থানায় পৃথক তিনটি এজাহার জমা দেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপির তিন কর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ঘটনার ৬ বছর পর নিহতদের পরিবার মামলা করেছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুর থানায় পৃথক তিনটি এজাহার জমা দেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
মামলায় সাবেক কুষ্টিয়ার এসপি তানভীর আরাফাত, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান ও আরিফুর রহমান, পরিদর্শক নিশিকান্তসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ মে যুবদল কর্মী আলতাব হোসেন পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। ২০২০ সালের ২৫ জুলাই ক্রসফায়ারে নিহত হন বিএনপি কর্মী কুদরত আলী এবং ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন বিএনপি কর্মী মদন আলী। এই তিন পরিবারের পক্ষ থেকে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমানের কাছে পৃথক তিনটি এজাহার দাখিল করা হয়।
ক্রসফায়ারে নিহত মদন আলীর ভাই ও মামলার বাদী কদম আলী সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভাই মদন আলী বিএনপি করত। আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চাপ দিত। কিন্তু সে তাতে রাজি না হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশকে দিয়ে ক্রসফায়ারে দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, বিগত ১৫ বছর মামলা করার মতো কোনো পরিবেশ ছিল না। বর্তমানে দেশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় মামলাগুলো করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, এজাহারগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজু আহমেদ/এসএসএইচ