কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে আহত বিএনপিপন্থি আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে নগরীর ট্রমা সেন্টার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে আহত বিএনপিপন্থি আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে নগরীর ট্রমা সেন্টার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আবুল কালাম আজাদ কুমিল্লা বার ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সদস্য।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সারা দেশের মতো কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষও আনন্দ উদযাপন করতে রাস্তায় নেমে আসেন। বিজয় উৎসব শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন সিনিয়র আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু, তার ছেলে শাফিউল হক আলভী, আরফানুল হক আবরিন এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ ও কুমিল্লা বারের সদস্য আবুল কালাম আজাদ। এ সময় নগরীর মোগলটুলী এলাকায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ রায়হান আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি এবং ককটেল ছুড়ে। এতে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ কোমরে গুলিবিদ্ধ হন। আর আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু এবং তার দুই ছেলে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তারা সবাই (গুলি করা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী) কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের অনুসারী।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আবুল কালাম আজাদ মারা যান।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজন এজাহার নামীয়সহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কাউন্সিলর রায়হান আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরিফ আজগর/এমজেইউ