শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দিরে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে কিশোরগঞ্জের সচেতন নাগরিক, মাদরাসার ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্ররা শহরের বিভিন্ন মন্দিরে অবস্থান নিয়ে পাহারা দিতে থাকে।
শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পর সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দিরে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে কিশোরগঞ্জের সচেতন নাগরিক, মাদরাসার ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্ররা শহরের বিভিন্ন মন্দিরে অবস্থান নিয়ে পাহারা দিতে থাকে।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাত থেকেই কওমি মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরের সামনে বসে পাহারার ব্যবস্থা করেন।
বিভিন্ন সংগঠন ও ছাত্রদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত রাত থেকেই, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, কওমি মাদরাসার ছাত্র ও সাধারণ ছাত্ররা কিশোরগঞ্জের সব মন্দিরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। যদিও কিশোরগঞ্জের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া এলাকার প্রবীর সরকার বলেন, আমরা ছাত্ররা আন্দোলন করে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে এই আন্দোলন সফল করেছি। আমরা সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে এই বাংলাদেশকে গড়তে চাই।
কিশোরগঞ্জ কালীবাড়ি মন্দির পাহারা দেওয়া স্বেচ্ছাসেবক আশরাফ আলী সোহান বলেন, কিশোরগঞ্জ অসাম্প্রদায়িক শহর। এই শহরে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকি। হিন্দুরাও আমাদের ভাই-বোন। তাই তাদের নিরাপত্তা ও তাদের অভয় দিতে মন্দিরের সামনে আমরা অবস্থান নিয়েছি।
কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম নিশাদ বলেন, আমরা গতকাল শুনতে পেরেছি ছাত্রলীগের গুন্ডারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করতে এই রকম হামলা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। তখন থেকেই আমাদের ছাত্রদলের কর্মীরা নিরাপত্তা দিচ্ছি।
কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাতুল আহমেদ বলেন, এদেশে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য সাধারণ ছাত্ররা হিন্দুদের ধর্মীয় উপাসনালয় ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলের প্রতি অনুরোধ করছি।
মোহাম্মদ এনামুল হক/আরেক