ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বর্বর হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবারের (১০ অক্টোবর) এই হামলায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। যাদের বেশিরভাগই নারী-শিশু ও বেসামরিক।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বর্বর হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবারের (১০ অক্টোবর) এই হামলায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। যাদের বেশিরভাগই নারী-শিশু ও বেসামরিক।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলের রাফিদাহ স্কুল নামের এই আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালানোর পর শিশুসহ কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। যার মধ্যে কয়েকজনের শরীর পুড়ে গেছে।
সংবাদমাধ্যমটির ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শিশুদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। যাদের মুখ রক্তে আচ্ছাদিত ছিল। এদের অনেকে চিৎকার এবং কান্নাকাটি করছিল। তাদের মধ্যে এক শিশুকে মেঁঝেতে শুইয়ে রাখা হয়েছি। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পুড়ে যাওয়া শিশুটি ভয়ে ও আতঙ্কে কাঁপছিল। ওই সময় সে হাসপাতালের এক কর্মীকে জিজ্ঞেস করে, “আমি কী মারা যাব, কী হয়েছে”?
দখলদার ইসরায়েল দাবি করেছে ওই স্কুলটিতে হামাসের যোদ্ধারা অবস্থান করছিল। ওই সময় তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। তবে যারা হতাহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আয়মান আবু খোসা নামের এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, “হামলাটি আমাদের সবাইকে ‘অবাক’ করেছে। আমরা প্রতিদিনই মারা যাচ্ছি। পুরো বিশ্ব আমাদের বিক্রি করে দিয়েছে। প্রতিদিন আপনারা সাংবাদিকরা আসেন। আমাদের ভিডিও করেন। গত এক বছর ধরেই আমাদের ভিডিও করে যাচ্ছেন।”
হামলায় বেঁচে যাওয়া আরেক ব্যক্তি জানান, তাদের আত্মীয়-স্বজনের খণ্ডিত মরদেহ খুঁজতে হবে।
ইফতেখার হামুদা নামের আরেক নারী বলেছেন, “তারা কেন স্কুলে হামলা চালাচ্ছে। এখানে সব বাস্তুচ্যুত মানুষ, বেশিরভাগই নারী।” আরেক নারী বলেন, “এখানে কোনো হামাস ছিল না। আমরা কোথায় যাব? তারা আমাদের বাড়ি, তাঁবু, রাস্তা এবং স্কুলে সব জায়গায় হামলা চালাচ্ছে।”
সূত্র: সিএনএন
এমটিআই