কমালা হ্যারিসের জন্য ভারতের গ্রামে চলছে পূজা

কমালা হ্যারিসের জন্য ভারতের গ্রামে চলছে পূজা

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারতের চেন্নাইয়ের ছোট এক গ্রাম থুলসেন্দ্রপুরম। এই গ্রামে মার্কিন নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের জন্য চলছে বিশেষ পূজা। এছাড়া তার পোস্টারে পোস্টারে ছেড়ে গেছে গ্রামটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারতের চেন্নাইয়ের ছোট এক গ্রাম থুলসেন্দ্রপুরম। এই গ্রামে মার্কিন নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের জন্য চলছে বিশেষ পূজা। এছাড়া তার পোস্টারে পোস্টারে ছেড়ে গেছে গ্রামটি।

এখানে কমালা হ্যারিসের নানা পিভি গোপালান জন্মেছিলেন। তার নানার বাড়ি হওয়ায় কমালাকে নিজেদের মেয়ে হিসেবে অভিহিত করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। সে কারণে তার জন্য চলছে পূজা অর্চনা।

কমালা যেন ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে পারেন সেজন্য স্থানীয় দেবির কাছে পূজা করছেন গ্রামবাসী। এছাড়া মিষ্টি বিতরণও চলছে।

এম মুরুকানন্দন নামের এক স্থানীয় রাজনীতিবিদ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, “তিনি জিতুক বা হারুক। এটি আমাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমাদের গর্বিত করেছেন।”

কমালা হ্যারিসের মা শ্যামলা গোপালান চেন্নাইয়ে জন্মেছিলেন এবং সেখানে বড় হয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ১৯ বছর বয়সে স্কলারশিপ নিয়ে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান তিনি। পরবর্তীতে আমেরিকায় স্থায়ী হন শ্যামলা। সেখানেই কমালা এবং তার ছোট বোন মায়ার জন্ম হয়।

কমালা হ্যারিস থুলসেন্দ্রপুরম গ্রামে প্রথম গিয়েছিলেন পাঁচ বছর বয়সে। এরপর ২০০৯ সালে নিজের মায়ের দেহাবশেষের ছাই নিয়ে আবারও চেন্নাই যান। এরপর আর ভারতে আসা হয়নি তার। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও গ্রামটির কথা কোথাও উল্লেখ করেননি তিনি।

এ বিষয়টি নিয়ে গ্রামটির মানুষ কিছুটা ব্যথিত। তবে তা সত্ত্বেও যদি কমালা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং গ্রামটির কথা একবার উল্লেখ করেন তাহলে সবাই খুশি হবেন বলে জানিয়েছেন এক নারী।

বর্তমানে গ্রামটিতে কমালা হ্যারিসের কোনো আত্মীয় স্বজন থাকেন না। তবে সেখানকার একটি মন্দিরে তার নানার নাম রয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *