১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের গোলামি ও ভারত থেকে আলাদা হতে না পারলে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, পঁচাত্তরের অভিশাপ থেকে মুক্তি এবং ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার বিপ্লব ও দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হতো না। তাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগে পতন হয়েছে, এ স্বাধীনতা যেকোনো মূল্যেই ধরে রাখতে হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ইতিহাস অন্বেষন পরিষদের উদ্যোগে “আগস্ট মানে বিপ্লব, আগস্ট মানেই স্বাধীনতা ” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের একথা বলেন বক্তারা। ছাত্র-জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করার আহ্বান জানান তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ইউরোপীয়রা অনেক রক্তের বিনিময়ে রেনেসাঁ এনেছিল। আমাদের ওপরও শেখ হাসিনা প্রায় দেড় যুগ চেপে বসেছিল। এসময় দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। খুন, গুম, ভোটাধিকার হরণ এবং বিরোধীদের দমনের মাধ্যমে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। রাজনৈতিক শক্তিগুলো এ স্বৈরাচারকে হটাতে ব্যর্থ হলেও ছাত্র-জনতা তা সফল করে দেখিয়েছে। তারা দেশকে সত্যিকারের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।
ছাত্র-জনতার অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানামুখি ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, নতুন রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য সরকারকে সময় দিতে হবে। ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবীসহ সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা ও গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানান তিনি।
ড. লতিফ বলেন, নুতন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে, সরকার কতদিন সময় নেবে তা পরিষ্কার করতে হবে।
বাংলাদেশ ইতিহাস অন্বেষন পরিষদের সভাপতি নূরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক মিজানের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিবদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম ও সামরিক বিশ্লেষক কর্নেল (অব.) আবদুল হক।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ডেইলি নিউ ন্যাশন সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ড. মিজানুর রহমান, কবি আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, কৃষিবিদ শেখ মুহাম্মদ মাসউদ প্রমুখ।
এনএম/এসএম