আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দলটির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। শনিবার(৭ সেপ্টেম্বর) দলীয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দলটির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। শনিবার(৭ সেপ্টেম্বর) দলীয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এবি পার্টির সদস্য-সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুকে খুদে বার্তা পাঠান রাজ্জাক।
সেখানে রাজ্জাক লেখেন, ‘আমি আমার অসুস্থতার কারণে এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের পেছনে কিছু বিষয়ে মতের অমিলকেও কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
জানতে চাইলে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকমাস যাবত তিনি ক্যান্সারজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চলতি সপ্তাহে তার ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন হবে। অতএব তার অসুস্থতার বিষয়টি একান্ত মানবিক। যার জন্য তিনি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা জানিয়েছেন। আমাদের দলের নাম নির্ধারণ বিষয়ে তার ভিন্নমত ছিল কিন্তু দলের কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সভায় সর্বসম্মত উপায়ে দলের নাম ও প্রতীক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টিতে তিনি একটু মনঃক্ষুণ্ন ছিলেন। এছাড়া অন্যকোনো বিষয়ে তার ভিন্নমত বা মতপার্থক্যের বিষয় আমার জানা নেই।
দলীয় সূত্র বলছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রাজ্জাক। গত ৩০ আগস্ট তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়।
২০১৮ সালে একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুর রাজ্জাক। ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এই আইনজীবীকে প্রধান উপদেষ্টা করার ঘোষণা দেয় এবি পার্টি। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে অনলাইনে দলীয় ফোরামে অংশ নিতেন।
একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে একদল নেতা-কর্মী ২০১৯ সালে বেরিয়ে এসে জন-আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামে একটি নতুন মঞ্চ গঠন করেন। পরে সেটি রাজনৈতিক দল হিসেবে এবি পার্টি নামে আত্মপ্রকাশ করে ২০২০ সালের ২ মে। আওয়ামী সরকার পতনের পর গত ২১ আগস্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায় এবি পার্টি।
জেইউ/এসকেডি