এক দশকে সিএসআর খাতে ব্যাংকের ব্যয় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

এক দশকে সিএসআর খাতে ব্যাংকের ব্যয় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

প্রথম আলো

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সম্প্রচারিত তুমুল জনপ্রিয় নাটক ছিল আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই। তারও আগে জনপ্রিয় হয়েছে অয়োময়, এইসব দিনরাত্রি। ছিল ‘এসো গান শিখি’, ‘মাটি ও মানুষ’, ‘ভরা নদীর বাঁকে’, ‘মীনা’ কার্টুনের মতো অনুষ্ঠান। নব্বইয়ের দশকে সাড়ে তিন হাজার মানুষের মধ্যে করা এক জরিপে দেখা গেছে, বিটিভির অনুষ্ঠান নিয়ে দর্শকের সন্তুষ্টির হার ৫৪ শতাংশ। বর্তমানে এমন কোনো জরিপ নেই । তবে ২টি কেন্দ্র ও ১৪টি উপকেন্দ্র নিয়ে পরিচালিত বিটিভির বরাদ্দ আছে যথেষ্ট। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানের বাজেট ৩২০ কোটি টাকার বেশি।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

বিটিভির দর্শক নেই, স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব অন্ধকারে

দর্শক বলছে, বিটিভি ‘সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্স’ থেকে ‘বাতাবিলেবুর বাম্পার ফলন’ তকমা পেয়েছে। গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দর্শক টানতে না পারার কারণ, সব সরকারই বিটিভিকে নিজেদের প্রচারযন্ত্র বানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় এই গণমাধ্যমকে নতুন করে সাজানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্বায়ত্তশাসন নীতিমালা প্রণয়ন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। পরের বছর সেই কমিশন বিটিভিকে স্বায়ত্তশাসনে পরিচালনাসহ অনেকগুলো সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিয়েছিল। সেই প্রতিবেদন পরে আর আলোর মুখ দেখেনি। গত ২৭ বছর ধরে অন্ধকারেই রয়ে গেছে।

কালবেলা

মোহাম্মদপুরে অপরাধ এখন ‘ডাল-ভাত’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যেন ফিরে এসেছে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষদিকের পরিস্থিতি! দাপুটে সন্ত্রাসীদের আধিপত্যে সেই সময় মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পরিণত হয়েছিল ‘অপরাধের স্বর্গরাজ্যে’। রাজনৈতিক মদদ এবং প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতার সুযোগে সন্ত্রাসীরা হয়ে উঠেছিল দুর্ধর্ষ-অপ্রতিরোধ্য। ঢাকার রাজপথে দিনদুপুরে খুনখারাপি, ঝুট ব্যবসার দ্বন্দ্ব, টেন্ডার, দখল-চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজি কিংবা অস্ত্রের মুখে ছিনতাই-ডাকাতির মতো ঘটনা তখন নৈমিত্তিক বিষয়! আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় গত আড়াই দশকে সেই চিত্র অনেকটাই পাল্টে গিয়েছিল। কিন্তু মোহাম্মদপুরের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে পুরোনো চিত্র। অপরাধ যেন মোহাম্মদপুরে এখন ‘ডাল-ভাত’! গত দুই মাসে এই এলাকায় ঘটে যাওয়া একাধিক অপরাধমূলক ঘটনা স্থানীয়দের তো বটেই, আতঙ্কিত করে তুলেছে পুরো নগরবাসীকে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আশ্বাস দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদের আন্তরিকতা নিয়েই।

দুই মাসে ৯ খুন, চুরি-ডাকাতি দিনদুপুরেই: মোহাম্মদপুর এলাকায় গত আড়াই মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধকাণ্ড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই সময়ে ওই এলাকায় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ৯টি। এর মধ্যে সাতজনকে কুপিয়ে এবং দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে ছিনতাইকারীদের হাতে একজন, মাদক কারবার নিয়ে দ্বন্দ্বে পাঁচজন এবং আধিপত্য বিস্তারের রেষারেষিতে দুগ্রুপের দ্বন্দ্বে প্রাণ গেছে বাকি তিনজনের।

মানবজমিন

ছিনতাই আতঙ্ক নগর জুড়ে

ছিনতাইকারীর রাজ্যে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের পাশাপাশি সন্ধ্যায়, রাতে ও ভোরেও ছিনতাই হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির টাকা ছিনতাই, পথচারী, রিকশা আরোহী যাত্রীদের থামিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া গণপরিবহনে বসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, ব্যাগ, ল্যাপটপসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসও ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে ছিনতাইকারীরা।

ছিনতাইকারীরা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করছে। প্রকাশ্যে অটোরিকশা ছিনতাই, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকা বহনকারী গাড়িতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। প্রাণঘাতী ছিনতাইয়ের ঘটনাও রয়েছে অহরহ। এছাড়া ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত হচ্ছেন শত শত মানুষ। অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

কালবেলা

কোথায় গেল ‘অবৈধ’ হাজার অস্ত্রধারী

২০০৯ সাল থেকে গত ১৬ বছরে ১৮ হাজার ৭৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক বিবেচনায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সব লাইসেন্সধারীকে নিজ নিজ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে বৈধ অস্ত্র জমা দিতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেননি ৯৯৭ লাইসেন্সধারী; তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দলঘনিষ্ঠ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে তাদের বেশিরভাগেরই খোঁজ নেই। তাদের অস্ত্রগুলো জমা না পড়ায় জননিরাপত্তা আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নির্ধারিত সময়ে যারা অস্ত্র জমা দেননি, আইন অনুযায়ী তাদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ তাদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো এখন অবৈধ। লাইসেন্স বাতিল হওয়া এসব অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডিসিরাও লাইসেন্স বাতিল করে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে মামলার পক্ষে মত দেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোনা অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। প্রায় হাজারখানেক অস্ত্র এবং অস্ত্রধারীরা এখন কোথায়, সে তথ্যও নেই পুলিশের কাছে। তথ্য না পাওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল ও উদ্ধার নিয়ে কোনো হালনাগাদ তথ্য দিতে পারছে না।

ইত্তেফাক

সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা যেতে পারবেন, তবে সীমিত পরিসরে

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। 

উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে নভেম্বর মাসে পর্যটক যেতে পারবে, তবে রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার জন পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন, কিন্তু রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারবে না। আর ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক যাওয়া বন্ধ রাখা হবে। তখন সেন্টমার্টিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।

যুগান্তর

তারা কখনোই আর হাঁটতে পারবে না

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের সরসরি গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ৮৫ জন কাতরাচ্ছেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি)। এর মধ্যে ৭০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন সাভার সিআরপিতে, বাকি ১৫ জন মিরপুরসহ সিআরপির বিভিন্ন ব্রাঞ্চে। আহতদের বেশির ভাগই মেরুরজ্জুতে পুলিশের গুলি ও বুলেটের আঘাতপ্রাপ্ত।

গুলিতে কারও কারও হাত-পা এমনকি পুরো শরীর অবশ হয়ে গেছে। আহতদের মধ্যে অনেকের পঙ্গুত্বের ঝুঁকি রয়েছে সারা জীবনের জন্য। সাভার সিআরপিতে চিকিৎসাধীন কয়েকজনের ভবিষ্যৎ ভরসা হুইলচেয়ার। চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টা চলছে বলে জানায় সিআরপি কর্তৃপক্ষ।

দেশ রূপান্তর

ক্লাসে ফিরতে পারছেন না শতাধিক শিক্ষক

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বয়কটে পড়েছেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান, আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের হুমকি দেওয়া প্রভৃতি অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষককে বয়কট করেছে শিক্ষার্থীরা।

তারা প্রায় সবাই ‘আওয়ামীপন্থি’ শিক্ষক। সেপ্টেম্বরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেও এসব শিক্ষক অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফিরতে পারেননি। তাদের নিয়ে বেকাদায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

যুগান্তর

পোশাক ও সবজি রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার

তৈরি পোশাক রপ্তানির আড়ালে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং মাল্টিপল ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে দুবাই ও কাতারে অর্থ পাচার করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক এমআই ট্রেডিং। হুন্ডি ও হাওলার আশ্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির রেমিট্যান্সের অর্থ দেশ দুটিতে রেখে দিয়েছে। একই ব্যাংকের গ্রাহক প্রতিষ্ঠান টোটাল কোয়ালিটি কোম্পানি শাক-সবজি রপ্তানির নামে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। এক্ষেত্রে রপ্তানি দেখিয়ে নিয়েছেন নগদ সহায়তা।

পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যের অর্থ দেশে ফেরায়নি প্রতিষ্ঠানটি। অর্থ পাচার ও হুন্ডির চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য উঠে এসেছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রতিবেদনে। হুন্ডি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি প্রতিবেদনটি এনবিআর ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে।

আজকের পত্রিকা

২৫০ কোটির প্রকল্প: ৫ কিলো সড়ক, চার বছরে নির্মাণ আধা কিলো

মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা। চার বছরে এই সড়কের মাত্র আধা কিলোমিটার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সড়কে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করার কথা। এর মধ্যে মোটে তিনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এদিকে সড়ক তৈরিতে যে পরিমাণ জমি অধিগ্রহণের কথা, এর ৩ ভাগের ১ ভাগও এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

বলা হচ্ছে মাগুরার ‘মাগুরা-শ্রীপুর মহাসড়ক বাঁক সরলীকরণসহ সম্প্রসারণ প্রকল্পের’ কথা। ২৪৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের জুনে। এখন তা বাড়িয়ে ২০২৬ সাল করা হয়েছে। মাগুরা শহরে যাতে যানজট না হয়, এ লক্ষ্যে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। সেই যানজট নিরসন তো দূরের কথা, সরকার পরিবর্তন, সময় বাড়ানো, প্রকল্পের কচ্ছপগতি—সব মিলিয়ে গোটা সড়কের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়েছে জনসাধারণের দুর্ভোগ।

কালের কণ্ঠ

মেঘনাসহ ৮ প্রতিষ্ঠানে আটকা সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা

মেঘনা গ্রুপসহ সরকারি-বেসরকারি আট প্রতিষ্ঠান সরকারের সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার গ্যাস বিল দিচ্ছে না। তিতাসের কাছ থেকে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা আবার সরকারি প্রতিষ্ঠান পিডিবির কাছে বিক্রি করে নগদে টাকা বুঝে নিলেও এসব প্রতিষ্ঠান গ্যাস বিলের টাকা ঠিকই আটকে রাখছে বছরের পর বছর। এর মধ্যে বেসরকারি মেঘনা গ্রুপ একাই দিচ্ছে না গ্যাস বিলের ৭৬৬ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে ইউটিলিটি বিল প্রদানে নানা সময় দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে মেঘনা গ্রুপ।

বিশেষত শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির মালিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুবাদে সরকারি কোনো নিয়ম-নীতি মানা বা বিল প্রদানের তোয়াক্কা করতেন না তিনি। ফলে কয়েক বছরে শুধু গ্যাস বিল বাবদই এ বিপুল অঙ্কের টাকা বকেয়া রাখে কম্পানিটি। এ দফায় বকেয়া আদায়ে সাড়া না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিতাস। তিতাসের পাশাপাশি পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগ এই বকেয়া আদায়ে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

বণিক বার্তা

এক দশকে সিএসআর খাতে ব্যাংকের ব্যয় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

দেশের বঞ্চিত ও অনগ্রসর মানুষের সামাজিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়নে দেশের ব্যাংকগুলোর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অর্থ ব্যয়ের কথা থাকলেও গত দেড় দশকে তা আবর্তিত হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল’ ঘিরে। যেকোনো উপলক্ষ কিংবা দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাংক চেয়ারম্যান কিংবা এমডিরা সিএসআরের অর্থ জমা দিতেন গণভবনে গিয়ে। হাসিমুখে ত্রাণ তহবিলের সে চেক গ্রহণ করতেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ বছরে দেশের ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এ ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই জমা দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। আর সেই অর্থ দিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন, চলচ্চিত্র নির্মাণ, শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনের মতো আয়োজনও করা হয়েছে। কেবল মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্যই শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টে অনুদান দেয়া হয় ২২৭ কোটি টাকা। সিএসআরের অর্থ ব্যয় হয়েছিল মুজিবের জীবনী নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণেও।

সমকাল

সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে না নতুন বিশ্ববিদ্যালয়

২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর বড় সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়েছিল। আট বছর পরে এসে এখন এই সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকারের ওই সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছিল, তা আট বছরেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বিপরীতে এসব কলেজে শিক্ষার পরিবেশে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।

শিক্ষার মানের উন্নতির পরিবর্তে ঢাবি প্রশাসনের বৈষম্যমূলক বিভিন্ন নীতি ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার যথাযথ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই বৈষম্য আর বঞ্চনা থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছেন। এখন তাদের দাবি, রাজধানীর এই সাতটি কলেজ নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত বা স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ দাবি পূরণে গত সোমবার সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। এই ২৪ ঘণ্টা গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়। আজ নতুন কর্মসূচি দেবেন তারা।

বণিক বার্তা

৮০% নারী গণপরিসরে নিরাপদ মনে করেন না

দেশের ৮০ শতাংশ নারীই গণপরিসরে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন না এবং ৯০ শতাংশ নারীই এখনো ভূমি মালিকানাকেন্দ্রিক জটিলতায় ভোগেন। সংখ্যালঘুদের ৯০ শতাংশই নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যে চলাফেরায় নিরাপদ বোধ করেন। সম্প্রতি সংখ্যালঘু, নারী, প্রতিবন্ধী ও যুবকদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।

‘‌অ্যান অ্যাসেসমেন্ট অব দ্য স্টেট অব মাইনোরিটি গ্রুপ, উইমেন, পারসন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটিস অ্যান্ড ইয়ুথ সেন্টার্ড পাবলিক সার্ভিসেস অ্যাট দ্য লোকাল অ্যান্ড ন্যাশনাল লেভেল’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে গবেষণা সংস্থা রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ (রিব)।

প্রথম আলো

খরচে কুলাতে না পেরে শিশুদের পাত থেকে ডিম–দুধ বাদ

ঢাকার কারওয়ান বাজারে সবজি কুড়িয়ে তা বিক্রি করে সংসার চালান শিল্পী নামের এক নারী। কোনো দিন ২০০ টাকা, কোনো দিন ৩০০ টাকা আয় হয়। তা দিয়ে চলে শিল্পীর সংসার। পরিবারে তাঁর মা ও একটি শিশুসন্তান রয়েছে।

শিশুটিকে কী কী খাওয়ান—জানতে চাইলে শিল্পী বলেন, বেশির ভাগ সময় ডাল-ভাত। নিয়মিত ডিম, দুধ ও মাছ খাওয়ান কি না, এ প্রশ্নের জবাবে শিল্পী বলেন, ওগুলোর দাম বেশি। মাঝেমধ্যে একটি-দুটি ডিম কিনে সবাই মিলে খান।

শিল্পী আরও বললেন, নিত্যপণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সামান্য আয় দিয়ে বাসাভাড়া দেওয়ার পর চাল, ডাল কিনতেই হিমশিম খেতে হয়। মাছ, মাংস, ডিম ও দুধের মতো আমিষজাতীয় খাবার কেনা সম্ভব হয় না। নিজেরা যেমন খেতে পারেন না, তেমনি নিজের শিশুসন্তানও তা থেকে বঞ্চিত।

এছাড়া আগামীকালের মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি; জাতিসংঘের কাছে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরল জামায়াত; যে কারণে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি; রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসে চক্রান্ত করার সুযোগ দেওয়া হবে না; শিক্ষা সংস্কারে ‘শিক্ষা অধিকার সংসদ’ গঠন; বিডিআর বিদ্রোহ পুনর্তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন চেয়ে রিট—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *