উপাচার্যের পদত্যাগ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

উপাচার্যের পদত্যাগ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবস্থিত হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান পদত্যাগ করেছেন এমন খবরে তার পদত্যাগ ঠেকাতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করছেন ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবস্থিত হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান পদত্যাগ করেছেন এমন খবরে তার পদত্যাগ ঠেকাতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করছেন ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপাচার্যের পদত্যাগ ঠেকাতে প্রশাসনিক ভবনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা ‘ভিসি স্যারের পদত্যাগ মানি না, মানব না’, ‘জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’-সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তা অমান্য করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল ৩১ আগস্ট হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান পদত্যাগ করেছেন এমন খবর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে সপদে বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. আবির হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের অনুষদের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পাস করার পরও আমরা ডিজি হেলথ থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাচ্ছি না। ফলে এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরি দিচ্ছে না বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিষয়টির সমাধানে ডিজি হেলথ বরাবর আমরা লিখিত আবেদন করি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় তারা। কিন্তু চিঠি দেওয়ার প্রায় ১১ মাস পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখতে পাইনি আমরা। সম্প্রতি আমাদের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান স্যার আমাদের পক্ষে দাঁড়ান। তিনি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। আমরা নিশ্চিত তিনি আমাদের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

আরেক শিক্ষার্থী রাব্বি ইসলাম প্রিমন বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। এর আগে আমাদের পাঁচ দফা ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছে না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

আরেক শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আফতাফ আহমদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেষ হওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি ছিল আমাদের। এখন সেই দাবির পাশাপাশি উপাচার্য স্যারকে সপদে বহাল করতে হবে। না হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেক্টরের কার্যক্রম বন্ধ করে কঠোর আন্দোলন করবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল খায়ের বলেন, শিক্ষার্থীদের একাধিক দাবি আমরা পূরণ করেছি। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনও হয়ে যাবে। এখন ‌উপাচার্য স্যারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার।

ব.ম শামীম/এমজেইউ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *