উপসহকারীকে পিটিয়ে নেওয়া হলো নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে

উপসহকারীকে পিটিয়ে নেওয়া হলো নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে

মাগুরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে ওই অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।

মাগুরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে ওই অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।

রোববার (৬ অক্টবর) দুপুরে নির্যাতনের শিকার উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হোসাইনকে আহত অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকদের নির্দেশে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার (৭ অক্টোবর) তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত রয়েছে।

নির্যাতনের শিকার মাগুরা সড়ক ও জনপদের উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হোসাইন এবং সহকর্মীরা জানান, গত ১৪ জুলাই অভিযুক্ত এ এম আতিক উল্লাহ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে মাগুরায় যোগদান করেন। কিন্তু অধিকাংশ সময় তিনি জেলার বাইরে অবস্থান করেন। এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উন্নয়ন সংস্কার ও দাপ্তরিক কাজকর্মে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়ে আসছে। অথচ তার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তার কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা তো পাচ্ছেন না উল্টো দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণের শিকার হচ্ছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মরত অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ২ অক্টোবর মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।

পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষরিত ‘গণ বদলির’ আবেদন জানানো হয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনে রোববার শিমুল হোসাইনের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

শিমুল হোসাইন বলেন, অফিসে নিজের কক্ষে বসে কাজ করছিলাম। এর মধ্যে দুপুর ১২টার দিকে একই অফিসে কর্মরত আবদুল আজিজ, মমিন এবং নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্লাহর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সিরাজসহ ৮-১০ জন আমাকে মারতে মারতে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্লাহ আমার জামা-কাপড় খুলে অফিসের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখার নির্দেশ দিলে তারা মারতে মারতে আমাকে বিবস্ত্র করে ফেলে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এ সময় হাতজোড় করে সম্মানহানি না করতে অনুনয় করলে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে অফিসের সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে  জানতে মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এএম আতিক উল্লাহর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হোসাইন মাগুরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (অপারেশন) জয়ন্ত কুমার মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে গতকাল রাতে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *