উপকূলীয় এলাকার উন্নয়ন ও উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবি

উপকূলীয় এলাকার উন্নয়ন ও উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবি

জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মেরু অঞ্চলের বরফগলন ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া লবণাক্ততা বৃদ্ধি এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও ফেলেছে। 

জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মেরু অঞ্চলের বরফগলন ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া লবণাক্ততা বৃদ্ধি এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও ফেলেছে। 

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে লিডার্স আয়োজিত উন্নয়ন বঞ্চিত দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের সংকট নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, নদীভরাট ও জলাবদ্ধতা আজ উপকূলের অন্যতম বড় সমস্যা। উপকূলীয় এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা খুবই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর প্রধান কারণ নদীতে পলি জমে যাওয়া এবং পলি ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না করা।

এসময় তিনি তাদের ১৪ দফা দাবি তুলে ধরেন।–

উপকূলীয় এলাকায় সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়ন এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সংযোগ স্থাপনের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে; জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণ করতে হবে; উপকূলীয় এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতে হবে; সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধানের জন্য বৃষ্টির পানির সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার করতে হবে; উপকূলীয় এলাকায় সব সরকারি পুকুর, দিঘী ও খাল উজারা মুক্ত করে খনন ও সংরক্ষণ করে সুপেয় পানির জন্য বরাদ্দ দিতে হবে; নদীর অভিভাবক প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট করতে হবে ও সিএস খতিয়ান অনুযায়ী নদ-নদীর সীমানা নির্ধারণ করে খনন করতে হবে; উপকূলীয় এলাকায় লবণ, খরা ও বন্যা সহনশীল কৃষির জন্য প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। 

এ ছাড়া সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইসিএ নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে; পরিবেশ সুরক্ষা, নদীভাঙন রোধ ও কার্বন ধরে রাখার জন্য নদীর চরে স্থানীয় জনগণের অংশীদারিত্বে বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে; সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর বিকল্প জীবিকায়নের ব্যবস্থা না করে সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে; পোল্ডারের ভেতর লোনাজল ঢুকিয়ে চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষ সীমিত করতে হবে, কৃষি জমিতে নতুন করে চিংড়ি ও কাঁকড়া করা যাবে না; পলি ব্যবস্থাপনা করার জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের সব নদী অববাহিকায় দ্বীপ, কৃষিজমি পুনর্ভরণ ও উঁচু করার জন্য পর্যায়ক্রমে টিআরএম বাস্তবায়ন করতে হবে; একটি টিআরএমের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে দুই বছর পূর্বে পরবর্তী টিআর এম এর কার্যক্রম শুরু করা এবং টিআরএম বিলের জমির মালিকদের সহজ শর্তে অগ্রিম ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে; এবং জলবায়ু তহবিলের অর্থ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপকূলের মানুষের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে ও তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।

ওএফএ/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *