চাঁদপুরে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়েও নদীতে মাছ ধরার দায়ে ২৪২ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। গত ১৭ দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ১ হাজার ৬০৪ কেজি ইলিশ, ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৬১৫ মিটার জাল ও ৮৫টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
চাঁদপুরে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়েও নদীতে মাছ ধরার দায়ে ২৪২ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। গত ১৭ দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ১ হাজার ৬০৪ কেজি ইলিশ, ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৬১৫ মিটার জাল ও ৮৫টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নৌপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে চাঁদপুর জেলার নৌ পুলিশের ছয়টি ইউনিট, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগসহ ১৭ দিন (১৩ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত) চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় ২৪২ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৩১ জন জেলের মধ্যে ১১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ১৭ জনকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকিদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা হয়।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। ২৪ ঘণ্টা নদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ পৃথক অভিযান চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪২ জেলেকে আলামতসহ আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৩১ জন জেলের মধ্যে ১১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ১৭ জনকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকিদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ৩০টি এবং পুলিশের ওপর হামলায় একটি মামলা করা হয়। এছাড়া জব্দ করা মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময়ে নদীতে নামলে আটক ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।
আনোয়ারুল হক/এফআরএস