প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করার পরও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার অনন্য নজির দেখিয়েছে পাকিস্তান। ফলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তারা ইনিংস ও ৪৭ রানে হেরেছে। তবে এমন হারের জন্য শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ–সহ বোলারদের কাঁধে দায় দিয়েছেন ফরম্যাটটিতে পাক অধিনায়ক শান মাসুদ। এক্ষেত্রে তিনি ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার উদাহরণও দিয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করার পরও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার অনন্য নজির দেখিয়েছে পাকিস্তান। ফলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তারা ইনিংস ও ৪৭ রানে হেরেছে। তবে এমন হারের জন্য শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ–সহ বোলারদের কাঁধে দায় দিয়েছেন ফরম্যাটটিতে পাক অধিনায়ক শান মাসুদ। এক্ষেত্রে তিনি ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার উদাহরণও দিয়েছেন।
টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ৫০০’র বেশি রান করেও ইনিংস ব্যবধানে হারের রেকর্ড গড়ল পাকিস্তান। বিপরীতে জো রুট ও হ্যারি ব্রুকের বিশ্বরেকর্ড গড়া জুটির সঙ্গে জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেটের মাঝারি দুটি ইনিংসে ইংল্যান্ড ৮২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। ব্রুক ক্যারিয়ারে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পান, রুট ষষ্ঠবারের মতো করেন ডাবল সেঞ্চুরি। ব্রুকের ৩১৭ রানের মতো রুটের ২৬২ রানের ইনিংসটাও ক্যারিয়ারসেরা। দুজনের ঝলমলে ইনিংসে দলের লিড গিয়ে দাঁড়ায় ২৬৭ রান!
ইংলিশরা যখন ইনিংস ঘোষণা করেছে তখন খেলার বাকি আর দেড়দিন। তবে চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলেই পাকিস্তান ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। পঞ্চম সকালে গুটিয়ে যায় ২২০ রানে। ইনিংসে ব্যবধানে এই হারে দায়টা স্বাভাবিকভাবে ব্যাটারদের ওপর পড়তে পারত। তবে মানতেই হবে বোলাররাও ছিলেন নির্বিষ, যে কারণে ইংলিশদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পরও ৮২৩ রানে তারা সপ্তম উইকেট হারায়। তাই তো বোলারদের পারফরম্যান্সে হতাশ শান মাসুদ বলেন, ‘ইংল্যান্ড আমাদের পথটা দেখিয়ে দিয়েছিল। তারা এই পিচেই ২০ উইকেট নিয়েছিল, তাই আপনি বলতে পারেন না যে ২০ উইকেট নেওয়া অসম্ভব।’
পাক অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমরা তাদের (ইংল্যান্ড) ২০ উইকেট নেওয়ার কোনো পথই খুঁজে পাইনি। এমনকি প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর গড়া সত্ত্বেও। দলগতভাবে আপনার একটা উপায় বের করতে হবে এবং টেস্ট ক্রিকেটের ফরমুলা হচ্ছে– ২০ উইকেট নিতে না পারলে আপনি জিততে পারবেন না। তার সঙ্গে থাকবে প্রথম ইনিংসের রান। আমরা কিছু ভুল বারবার করেছি। যখন দুইদিন ব্যাট করে ৫৫০ রান তোলা হয়, যেকোনো মানুষের জন্যই সেই স্কোরবোর্ড চাপ সৃষ্টি করে। যদি ম্যাচ সেট-আপ করতে চান, তাহলে এরকম বড় স্কোর করতে হবে এবং সেখান থেকে প্রতিপক্ষকে বড় লিড নিতে দেওয়া যাবে না।’
পাকিস্তান দুই ইনিংসে ব্যাট করলেও, ইংল্যান্ড এক ইনিংসেই ৮২৩ রান নিয়ে তাদের কাজটা সেরে নিয়েছিল। যেখানে পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ১২০ রান, নাসিম শাহ ১৫৭ রান, আবরার আহমেদ ১৭৪ রান, আমের জামাল ১২৬ রান, সালমান আলি আগা ১১৮ রান এবং সাইম আইয়ুব ১০১ রান খরচ করেছেন। সাইম ও নাসিম সর্বোচ্চ ২টি উইকেট শিকার করেছেন।
প্রথম টেস্ট হারলেও, ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস রয়েছে মাসুদের, ‘সিরিজের মাঝে রয়েছি। দলের ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পিচ যেমনই হোক, আমাদের জিততে হবে। ইংল্যান্ড সেটা করে দেখিয়েছে। কখনও কখনও পরিস্থিতি আমাদের সাহায্য করবে, কখনও করবে না। টেস্টে সবসময় পরিস্থিতি নিজেদের পক্ষে থাকবে, এটা ভাবা ভুল। এই ফলাফলে আমরা হতাশ, পুরো দেশ হতাশ। আমি কখনও নিজের দায়িত্ব থেকে সরে আসি না। কিন্তু লজ্জা লাগছে এটা ভেবে যে, পাকিস্তান ক্রিকেট যে ফলটা পাওয়ার যোগ্য, আমরা সেটা দিতে পারছি না। আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
এএইচএস