গত বছর অসহনীয় গরমে ইউরোপে ৪৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে মহাদেশটির দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। গতকাল সোমবার বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ (আইএসগ্লোবাল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছর অসহনীয় গরমে ইউরোপে ৪৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে মহাদেশটির দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। গতকাল সোমবার বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ (আইএসগ্লোবাল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বের ইতিহাসে গত বছর সবচেয়ে উষ্ণ ছিল। এই গরমে পুড়েছেন সব মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় ইউরোপে তাপমাত্রা বাড়ছে সবচেয়ে বেশি গতিতে। এতে করে তাপজনিত সমস্যায় ভোগার শঙ্কাও বেড়েছে বহু গুণ।
এর আগে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল ২০২৩ সালে অতিরিক্ত গরমে ইউরোপে ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। যদিও ধারণার চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কম। কিন্তু যদি পূর্বেই ব্যবস্থা না নেওয়া হতো তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেশি হতে পারত বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ এ সংস্থাটি। গত ২০ বছরে এ ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি।
৪৭ হাজার মানুষের মৃত্যুর সংখ্যাটি বের করতে গবেষকরা ইউরোপের ৩৫টি দেশে মৃত্যু ও তাপমাত্রার রেকর্ড ব্যবহার করেছেন। এতে তারা দেখতে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে উচ্চ তাপমাত্রাজনিত কারণে।
এই ৩৫টি দেশের মধ্যে গ্রিস, বুলগেরিয়া, ইতালি এবং স্পেনে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই