ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে মাছ-মাংস খাওয়া কি কমিয়ে দিতে হয়?

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে মাছ-মাংস খাওয়া কি কমিয়ে দিতে হয়?

ইউরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে উৎপাদিত একটি বর্জ্য পদার্থ, যা রক্তে দ্রবীভূত হয় এবং কিডনি দ্বারা ফিল্টার হয়। তারপর প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অপসৃত হয়। কিন্তু, যখন এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে ঘটে না, তখন পিউরিন শরীরে জমতে শুরু করে এবং নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।

এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা রোগীর খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করে।

অনেকের ধারণা, শরীরে কারও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এই ধারণা কি সত্যি? সত্যিই কি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে মাছ, মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হয়?

বিশেষজ্ঞ বলছেন, কারও হাই ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে, তার প্রোটিন খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার দরকার নেই। তবে পিউরিন সমৃদ্ধ একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

পিউরিন যে ধরনের জিনিসের মধ্যে থাকে রেড মিট অর্থাৎ, খাসি বা ভেঁড়ার মাংস, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, সি-ফুড ইত্যাদি। এছাড়াও থাকে যে কোনও কোল্ড ড্রিঙ্কসেও এটা অনেকটা থাকে।

এছাড়া, ভদকা, বিয়ার, হুইস্কি ইত্যাদিও না খাওয়া উচিত। আইসক্রিম, চিপস, প্যাকেটজাত খাবার, প্যাকেটজাত ফলের জুসেও হাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে খাওয়া উচিত নয়। তার বদলে আপনি খেতে পারেন কম পিউরিন যুক্ত প্রোটিনজাত খাবার। ডিম, বাদাম, যে কোনও ধরনের ফল, শস্য, সবুজ শাক সবজি, কম ফ্যাটযুক্ত ডেয়ারি প্রোডাক্ট, মুরগির মাংস ইত্যাদি। হাই ইউরিক অ্যাসিডে অল্প পরিমাণে মাছও খাওয়া যেতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ৩টি বিষয় মাথায় রাখুন। প্রথমত, আপনাকে সারাদিন অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। তৃতীয়ত, যতদূর সম্ভব মিষ্টি জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে।

এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *