ক্রিকেট, ফুটবল বাদে দেশের অন্য সকল খেলায় ক্রীড়াবিদরা তেমন অর্থ-কড়ি পান না। সেই হতাশায় অনেক ক্রীড়াবিদ বিদেশে পাড়ি জমান। গত বছর আরচ্যার অসীম কুমার স্থায়ী আবাসের লক্ষ্যে আমেরিকা যান। এবার সেই পথের পথিক হয়েছেন আরেক আরচ্যার হাকিম আহমেদ রুবেল।
ক্রিকেট, ফুটবল বাদে দেশের অন্য সকল খেলায় ক্রীড়াবিদরা তেমন অর্থ-কড়ি পান না। সেই হতাশায় অনেক ক্রীড়াবিদ বিদেশে পাড়ি জমান। গত বছর আরচ্যার অসীম কুমার স্থায়ী আবাসের লক্ষ্যে আমেরিকা যান। এবার সেই পথের পথিক হয়েছেন আরেক আরচ্যার হাকিম আহমেদ রুবেল।
অসীম আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে থাকেন। সেখান থেকে তিনি বলেন,’ রুবেল গতকাল নিউইয়র্ক এসে পৌঁছেছে। আসার আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। আমি বলেছিলাম,’ চাইলে আসতে পারিস’। সে সকল কিছু চিন্তা ভাবনা করেই এসেছে।’
আব্দুল হাকিম রুবেল বাংলাদেশের অন্যতম সেরা আরচ্যার। প্যারিস অলিম্পিকে তারই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল। আরচ্যারি ফেডারেশন রুবেলের নামই অলিম্পিক এসোসিয়েশনে ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য প্রেরণ করেছিল। জুনে অলিম্পিক কোটা প্লেস টুর্নামেন্টে সাগর ইসলাম সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। এজন্য আর অলিম্পিক খেলা হয়নি রুবেলের।
রুবেল বাংলাদেশকে অনেক পদক এনে দিয়েছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণজয়, এশিয়ান ও বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অনেক টুর্নামেন্টে তিনি প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০২১ সালে আমেরিকায় বিশ্ব আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সময় বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা পাচ বছর মাল্টিপল ভিসা পেয়েছিলেন। অসীম কুমারের পর রুবেলও সেই ভিসাতেই মূলত আমেরিকায় গেলেন।
আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন,’ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এটি এখনো জানি না সে কোথায়। তবে শুনেছি আমেরিকায় গিয়েছে। সে আমাদের কাছ থেকে পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়েছিল।’
বাংলাদেশ আরচ্যারি দলের জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক বলেন,’সে চার দিন আগেও ক্যাম্পে ছিল। আমিও শুনেছি সে অন্য দেশে গিয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করার মতো প্রস্তুত নই।’
এজেড/এফআই